রেলের সম্পদ দখলকারী যেই হোক , তার থেকে জমি উদ্ধার করা হবেই :রেলপথমন্ত্রী

রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন এমপি বলেছেন রেলের সম্পত্তি দখল যেই করুক না কেন, সে যত বড় নেতাই হোক না কেন তার থেকে জমি উদ্ধার করে রেলের কাজে লাগানো হবে।

মন্ত্রী আজ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনের বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনের সমান্তরাল একটি ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করার সময় নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া নামক রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী এ সময় বলেন, রেলকে আধুনিক ও জনগণের বাহন হিসেবে আমরা গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। নারায়ণগঞ্জবাসী যেন রেলের মাধ্যমে বেশি সেবা পায় সেজন্য আমরা ডাবল লাইন নির্মাণ করছি। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে রেল লাইন যশোর পর্যন্ত যাচ্ছে। পদ্মা সেতুর লাইনটি নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে যাবে। এছাড়া কমলাপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ এর উপর দিয়ে হাইস্পিড রেল আমরা নির্মাণ করব। ফলে নারায়ণগঞ্জ এর সাথে রেলওয়ের অনেক প্রকল্প জড়িত।

মন্ত্রী এ সময় বলেন নারায়ণগঞ্জ এক সময় ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। সারাদেশে সড়কের অনেক উন্নয়ন হলেও রেল ব্যবস্থা এতদিন অবহেলিত ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার একটি সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে সারাদেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে। রেলমন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন আমাদের নতুন লাইন করতে গেলে অনেক স্থাপনা প্রয়োজন। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনে রেলের অনেক জায়গা অবৈধ দখলে ছিল। সেগুলো উদ্ধার করে রেললাইন নির্মাণের কাজ চলমান আছে।

তিনি এ সময় উল্লেখ করেন আমরা উন্নত দেশের আদলে রেল ব্যবস্থা কে গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। স্টেশনগুলোকে আধুনিক করে গড়ে তোলা হচ্ছে।রেলওয়ে অবৈধ জায়গা উদ্ধার করে আমরা রেললাইন নির্মাণ কাজে ব্যবহার করছি। অবৈধ দখলমুক্ত করে রেলকে রেলওয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনা আনাই আমাদের মূল লক্ষ্য। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আনার পর আমরা জায়গাকে জনগণের কাছে যেগুলো আমাদের প্রয়োজন হবে না সেগুলো আমরা ইজারা প্রদান করব। এর মাধ্যমে রেলওয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

এ পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক মোঃ শামসুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অবকাঠামো মোহাম্মদ খন্দকার শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মোঃ নাসির উদ্দিন সহ বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ রেলমন্ত্রীর সাথে ছিলেন।