ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান গৃহবিবাদ নাকি অন্য কিছু : রিজভী

দেশে চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভেতরের কোনো কোন্দলের ফল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ সন্দেহ প্রকাশ করেন বলেন।

রিজভী বলেন, ‘আজকে হঠাৎ করে টাকার খনি, ডলারের খনি আর ক্যাসিনোর খনি পাওয়া যাচ্ছে। গত ১০ বছর কিছুই হলো না, তাহলে এখন হচ্ছে কেন? এ নিয়ে জনমনে বড় বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেউ বলেন গৃহবিবাদ, কেউ বলেন অন্য কোনো বিষয় আছে।’

বিএনপির এ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘দুর্নীতি করা নিশ্চয়ই অপরাধ। সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হচ্ছে জনগণকে প্রতারিত করে দিনের ভোট রাতে করা। এই মহাদুর্নীতির জন্য সবার আগে এই সরকারের বিচার হওয়া উচিত ছিল।’

খুনিরা সরকারের আশ্রয়ে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি এ নেতা বলেন, ‘সরকারের সোনার ছেলেরা অপরাধ করলে, ওই অপরাধকে প্রোটেকশন দেয় এ সরকার বা সরকার প্রধান। নাটোরের নুর হোসেন বাবু হত্যাকারীদের বিচার হয়নি। নাটোরের রানা হত্যাকারীদের ফাঁসি হয়েছিল, কিন্তু তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমা পেয়েছেন।’

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘খবরের কাগজে বেরিয়েছে- আওয়ামী লীগের দুইজন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এবং আবদুল হামিদ সাহেবের আমলে ৩৪ থেকে ৩৫ জন হত্যাকারী, যাদের ফাঁসি হয়েছে তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমা পেয়েছেন।’

রিজভী বলেন, ‘অপরাধীরা প্রোটেকশন পায় সরকারের কাছ থেকে। সেই সরকারের হঠাৎ করে সোনারকাঠি-রূপারকাঠি পরিবর্তন করে আজকে রাক্ষস থেকে মানবতার মূর্ত প্রতীক হলেন কী করে? ঘটনা কী? বিশ্বজিৎকে যারা হত্যা করেছে, তাদেরও কিন্তু কিছু হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ভোটারবিহীন সরকার জনগণের সরকার নয়, এটি একটি মাফিয়া সিন্ডিকেট। তা না হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন হবে না কেন? এরকম মামলায় অসংখ্য জামিন হয়েছে।’

সমাবেশের পর আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়াপল্টনের কার্যালয় থেকে নাইটিঙ্গল মোড় হয়ে বিএনপি কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।