ব্যারিস্টার তুরিনকে অপসারণের ব্যাখ্যা দিলেন আইনমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের অপসারণ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, ‘একজন আসামির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার অভিযোগ ছিল তার (তুরিন) বিরুদ্ধে। ওই মামলাটি তিনি নিজে পরিচালনা করছিলেন। আসামির সঙ্গে আলাপ-আলোচনার রেকর্ডটি চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পাঠানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘রেকর্ডটি আমরাও যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ করেছি। এ কাজ করতে গিয়ে তার সঙ্গে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু কথা বলেছি। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই তাকে এই পদ থেকে অপসারণ করেছি।’

আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলছি তার কাজে আমরা সন্তুষ্ট। অপসারণ হওয়ার আগ-মুহূর্ত পর্যন্ত তাকে আমরা যে দায়িত্ব দিয়েছি সেই দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে গেছেন। তার ওই কর্মকাণ্ড নিয়ে আমাদের কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু তিনি কেন যে এই কাজটি করতে গেলেন, এটা দুঃখজনক। আমরা যে তাকে খুশিমনে অপসারণ করেছি তা কিন্তু নয়। যে মামলা নিয়ে আসামির সঙ্গে তিনি কথা বলেছিলেন সেই মামলার চার্জ এখন গঠন করা হচ্ছে। এজন্য ওই পদ থেকে তাকে অপসারণ করেছি।’

প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেছিলেন, তুরিন আফরোজ ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইন মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।

এখন মন্ত্রণালয় কি তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রশ্নের জবাবে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’

তুরিন আফরোজকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘যে রেকর্ড আমরা পেয়েছিলাম, তাতে যে কণ্ঠ শোনা গেছে, আমরা নিশ্চিত এটা তুরিনেরই কণ্ঠ। তারপরও যতটুকু প্রয়োজন হয়েছে তার সঙ্গে কথা বলেছি। সাক্ষীদের সঙ্গেও কথা বলেছি।’

তুরিন আফরোজের অপসারণ এ সেক্টরের জন্য কোনো বার্তা বহন করছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি এই সেক্টরে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তারা অত্যন্ত সজ্ঞানে, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তাদের নতুন করে ম্যাসেজ দেওয়ার প্রয়োজন আমি অনুভব করি না। তারপরও যদি কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ওঠে তাহলে তো ব্যবস্থা নেবই। কারণ, এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর দায়িত্ব।’