পেঁয়াজের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যা চাইবে সব দেয়া হবে : অর্থমন্ত্রী

পেঁয়াজের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যা চাইবে সব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘পেঁয়াজের বিষয়টি যদিও অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়, এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজ হলো অর্থ দেওয়া।’

গতকাল শুক্রবার মির্জাপুরের টাঙ্গাইলের কুমুদিনী কমপ্লেক্সে  ‘কুমুদিনী কল্যাণ ট্রাস্ট’ কর্তৃক আয়োজিত রণদা প্রসাদ সাহার ১২৩তম জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমার জানা মতে পেঁয়াজ নিয়ে সংকট তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজের ওপর ইমপোর্ট ডিউটিও বাতিল করা হয়েছে। তাই পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রেও কোনো বাধা থাকার কথা নয়।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে পেঁয়াজের সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে।’

অনুষ্ঠানে রণদা প্রসাদ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একেবারে শুন্য হাতে শুরু করে জীবন সংগ্রামে সফলতা লাভ করা অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার মনে হলেও কারো জীবনে তা অর্জিত হয়েছে কঠোর পরিশ্রম,অধ্যবসায় আর অদম্য সাহসিকতা ও ধৈর্য নিয়ে । যে মানুষটি অর্থের অভাবে মায়ের চিকিৎসা করাতে পারলেন না, সেই মানুষটির প্রতিষ্ঠিত কুমুদিনী হাসপাতাল থেকে এখন প্রতিদিন প্রায় দুই সহস্রাধিক রোগীকে সহজলভ্য চিকিৎসা দান করা হচ্ছে।’

‘যে মানুষটি পাহাড়সমান দারিদ্রতা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করলেন, সেই মানুষটিই এশিয়া মহাদেশের অন্যতম একজন দানবীর ও মানবসেবক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেন। একটি শিক্ষাকেন্দ্রের অভাবে যেখানে নারীশিক্ষা ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন, এই মানুষটির অবদানেই আজ হাজারো নারী সুশিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের নারীসমাজ আলোকিত করছে। যার প্রতিষ্ঠিত ভারতশ্বরী হোমস, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল, কুমুদিনী কলেজের মতো নাম করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নারী শিক্ষার অগ্রদূত হিসাবে আজও আপন মহিমায় দাড়িয়ে আছে। আর সেই মানুষটি হলেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের মির্জাপুর গ্রামের দানবীর রায় বাহাদুর রণদা প্রসাদ সাহা।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর এবং উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। তিনি বাঙালি জাতিকে নতুন এক আশা দেখিয়েছেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে উন্নীত করার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয়েছে, যার মাধ্যমে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে বিশিষ্ট দানবীরে এই রণদা প্রসাদ সাহাকে অপহরণ ও হত্যা করায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচারসহ জাতীয় জীবনের বহু ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে তার হাত ধরেই।

অর্থমন্ত্রী কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমস, নার্সিং কলেজ সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখেন এবং রোগীদের খোঁজ খবর নেন।