‘অসৎ উপায়ে বিরিয়ানি খাওয়ার চেয়ে নুন-ভাত খাওয়া সম্মানের’

সারা দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ সবসময় বাগড়া দেওয়ার চেষ্টা করে এবং অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করে। কেউ যেন এই অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়। আমি সেটাই বলবো। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে যে সেবা দিচ্ছে এই কথাগুলো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এবং মানুষের মাঝে একটা আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করতে পেরেছি আমরা। কাজেই আমাদের দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে সেই ধারাটা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।’

দুর্নীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই দেশ থেকে মাদক, সন্ত্রাস, দুর্নীতি দূর করতে চাই। এর বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে সেই অভিযান আমরা অব্যাহত রাখবো। বাংলাদেশের মানুষের শান্তি, নিরাপত্তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। আর একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেই উন্নতি সম্ভব। এমন একটা শন্তিপূর্ণ পরিবেশ আমরা চাই।’

এ সময় অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন জনগণ বরদাস্ত করবে না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে সেটা দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করা এটা কখনো দেশের মানুষ বরদাস্ত করে না। অসৎ উপায়ে উপার্জিত অর্থ দিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ার চেয়ে সৎ পথে নুন-ভাত খাওয়া অনেক মর্যাদার, অনেক সম্মানের, অনেক ভালো। এটাই হলো বাস্তবতা।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি তারাই বাংলাদেশের চেতনাকে পঁচাত্তরে ধ্বংস করতে চেয়েছে। জিয়াউর রহমান থেকে খালেদা জিয়া পর্যন্ত সবাই দুর্নীতিতে জড়িত। তাই এরা যেন আর কখনো ক্ষমতায় আসতে না পারে সেদিকে দেশের মানুষকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’ এ সময় দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজদের রাজনীতিতে স্থান না দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘মানুষের, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের ফলে দারিদ্র্য আরও কমিয়ে আনা হবে। যারা মুুুুজিব আদর্শে বিশ্বাসী দেশটাকে তাদেরই গড়ে তুলতে হবে।’ এ সময় ত্যাগের আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীদের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উত্তোলন করা হয় সংগঠনের ৭৯টি সাংগঠনিক জেলার পতাকা। সম্মেলন মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রথমে নেতাকর্মীদের অভিবাদন জানান শেখ হাসিনা। পরে উপভোগ করেন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ নেতামকর্মীরা উপস্থিত রয়েছেন।