বাধা দিয়ে, পোস্টার ছিঁড়ে জনগণকে এবার রুখা যাবে না: ইশরাক

গণসংযোগে, প্রচার-প্রচারণায় বাধা দিয়ে আর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে বিএনপি তথা ধানের শীষকে জনগণের মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না বলে মন্তব্য করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘পোস্টার ছেঁড়া ছোটলোকি কাজ। এসব করে জনগণকে এবার আর রুখা যাবে না। ভোট ন্যূনতম সুষ্ঠু হলেও বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।’

প্রতিপক্ষের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, ‘পোস্টার ছেঁড়ার মাধ্যমে আমাদেরকে জনগণের মন থেকে মুছে ফেলতে পারবেন না। বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এই নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের যা যা করণীয় তাই করবো।

ইশরাক আরও বলেন, ‘দক্ষিণ সিটিতে বিএনপি মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টার লাগাতে বাধা দেয়া ও পোস্টার ছেঁড়া হচ্ছে প্রতিদিন। বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ও থানা-পুলিশকে অবহিত করা হলেও কোনও প্রতিকার মিলছে না।’

রবিবার সকালে শান্তিনগর মোড় এলাকায় ও হাবিবুল্লাহ কলেজের সামনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ও কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলামের ছেঁড়া পোস্টারের স্তপ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এরপরই ইশরাক হোসেন এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ জনগণ ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। যদি নির্বাচন কমিশন ন্যূনতম সুষ্ঠু ভোট দিতে সক্ষম হয় তবে আমাদের বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। বাধা দিয়ে, পোস্টার ছিঁড়ে কোনও লাভ নেই।’

তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের প্রার্থীর পোস্টার ছেঁড়া ও তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা সৃষ্টির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। এ বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনকে বারবার অবহিত করলেও তারা এর কার্যকর কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। আমি আশা করবো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়া ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বার্থে কমিশন এসব বিষয়ে খুব দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

এদিকে রবিবার রাজধানীর আজমপুর মোড়ে গণসংযোগ শুরুর সময় ভোটারদের ‘দুর্নীতিমুক্ত ঢাকা’ উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমি মেয়র নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে সিটির ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে একসাথে নিয়ে কাজ করবো।’

নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের বিষযয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের সময়ই নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল হিন্দু ধর্মালম্বীদের পূজার বিষয়টি বিবেচনা করা। তাহলে আজকে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কারণে শিক্ষার্থীদের বিপাকে পড়তে হতো না। তারপরও দেরিতে হলেও কমিশন সরস্বতী পূজার বিষয়টি বিবেচনা করে ভোট পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই।’

সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে আজিমপুর মোড় থেকে আজিমপুর কবরস্থান এলাকার দিকে গণসংযোগে যান তিনি। এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। গণসংযোগে ধানের শীষে ভোট চেয়ে স্লোগানে স্লোগানে ওই এলাকা প্রকম্পিত করেন হাজার হাজার নেতাকর্মী।