হামলা মামলার পরও নির্বাচনে আছি : তাবিথ

হামলা মামলার পরও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন বলে জানিয়েছেন উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল। আজ বুধবার বেলা ১১টায় ১৮ নং ওয়ার্ডের নর্দ্দায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে তিনি এ কথা জানান।

বৃষ্টি মাথায় নিয়ে প্রচারে অংশ নেওয়া তাবিথ বলেন, ‘আজ বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও আমি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি, তাদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। ভোটাররা বৃষ্টি ও শীত উপেক্ষা করে আমার কথা শুনছেন, আমাকে আশ্বস্ত করছেন।’

তিনি বলেন, ‘যেভাবে ভোটারদের মধ্যে সাড়া পাচ্ছি তাতে ধানের শীষের বিজয় ঠেকানো যাবে না। বিজয়ী হওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি। আমরা ভোট কেন্দ্রে যাব, আমাদের পোলিং এজেন্টরা যাবেন, প্রার্থীরা যাবেন। ভোটের পরিবেশ নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করতে হবে।’

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, ‘হামলা মামলার পরও আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আছি। আপনারা সরকারকে প্রশ্ন করেন। হামলা মামলা করে সরকার আমাদেরকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে চাইছে।’

ভোটারগণ যাতে কেন্দ্রে গিয়ে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা উত্তরের এই মেয়রপ্রার্থী। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ভালোভাবেই জানে যে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ করতে গেলে কী কী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়। তাই সব পরিস্থিতিতে যেন ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে তা কমিশনকেই নিশ্চিত করতে হবে।’

ভোটারদের উদ্দেশে তাবিথ বলেন, ‘সকল অবস্থায় আপনারা প্রস্তুত থাকবেন। নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। কোনো ভয়ের কিছু নেই। আপনারা ধানের শীষে ভোট দেবেন, আপনাদের অধিকার চর্চা করবেন। নাগরিক দায়িত্ব পালন করবেন।’

এ সময় যেভাবে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার উঠেছে, যদি কোনো অপচেষ্টাও হয় জনগণই তা রুখে দেবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই প্রার্থী।

এরপর বারিধারা ডিওএইচএস দক্ষিণ গেইট (ইউনাইটেড হাসপাতালের পাশে), কালাচাঁদপুর নর্দ্দা এলাকা গণসংযোগ করেন তাবিথ আউয়াল। বৃষ্টি ও প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ তার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। এ সময় ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী শরিফ উদ্দীন জুয়েলসহ (ব্যাডমিন্টন মার্কা) নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।

গণসংযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- ১৮ নং ওয়ার্ডে বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। এ ছাড়া স্থানীয় বিএনপি ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী প্রচারণায় অংশ নেন।