রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘মানবতার মা’ উপাধিতে ভূষিত

মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ বা ‘মানবতার মা’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

আজ বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে ইউনিসেফ আয়োজিত রোহিঙ্গা শিশুদের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ও নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবতার পরিচয় দিয়েছেন তা সমগ্র বিশ্বে উদাহরণ হয়ে আছে। তাই বিশ্বব্যাপী তিনি ‘‘মাদার অব হিউম্যানিটি’’ অর্থাৎ ‘‘মানবতার মা’’ অলঙ্কারে ভূষিত হয়েছেন। ’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের কল্যাণে সরকার যে সকল কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তার মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) প্রকল্পের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শিশুদের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা।’

তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় গ্রহণ করার ফলে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার লক্ষ্যে রস্ক প্রকল্পের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার ৮টি উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৮ হাজার ৫০০ যুবাদের নিয়ে প্রি-ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এ প্রশিক্ষণের ফলে তারা বিভিন্ন চাকরি ও আত্ম-কর্মসংস্থানের সঙ্গে নিযুক্ত হয়ে সমাজের সম্পদ হিসেবে নিজেকে গড়ে উঠছে।’

রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন প্রকল্প পরিচালক মো. দেলওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রতন চন্দ্র পন্ডিত, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, বিশ্বব্যাংকের টাস্ক টিম লিডার সায়েদ রাশেদ আল জায়েদ এবং ইউনিসেফের ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুবুল আলম তালুকদার।