করোনা মহাদুর্যোগে বিএনপি মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে :রিজভী

করোনা মহাদুর্যোগে বিএনপি মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে, কাজ করছে এই প্রতিহিংসা মরে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ সোমবার রাজধানীর শংকরে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামের তত্ত্বাবধানে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপি’র সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি সারা দেশের অসহায় দুস্থ কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই প্রতিহিংসায় ভুগছে সরকার। এ কারণে আমাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। গুম করা হচ্ছে। এটা কোন সরকারের নিদর্শন হতে পারে না। যারা ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচার মানুষের কথা শুনতে পারে না তারা এ ধরনের জঘন্য কাজ করতে পারে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০ লক্ষ মানুষকে আর্থিক সহায়তা করবে। এখানেও চলছে বাটপারি। ৪০ জনের টাকা যাবে একজনার বিকাশ নাম্বারে। এবং সেটা মেম্বারের একজন লোকের। তা তো দেখা যাচ্ছে গরিব মানুষের নাম নেই। এখনেও গরীব অসহায় মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন।সব তাদের আত্মীয়-স্বজনের নাম। তাহলে যারা গরিব মানুষের টাকা চুরি করে আত্মসাৎ করে এরা কি মানুষ।এদের জনগণের প্রতি কোন মায়া থাকতে পারে না। এদের মানুষের প্রতি কোন দরদ নেই বলেই আজকে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

ত্রাণ বিতরণের সময় রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা অব্যাহত রেখেছে। অথচ জনগণের টাকা কি না তা নিয়ে নয় ছয় করছে সরকার। শুধু আওয়ামী লীগের লোকেরাই ত্রাণ আত্মসাৎ করছ না প্রশাসনের লোকও জড়িত। তারা মনে করে সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছি আমরা। আমরা যত চুরি করি, ডাকাতি করি, অন্যায় করি সরকার আমাদের কিছু বলতে পারবে না। জনগণের ত্রাণ আওয়ামী লীগের তথাকথিত মেম্বার চেয়ারম্যান ও দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে। এই হলো সরকারের মানবতা।

চিকিৎসা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে মন্তব্য করে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, চিকিৎসার অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। রাস্তাঘাটে লাশ পড়ে থাকছে। ৯০ পার্সেন্ট হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার নাই। সরকার স্বাস্থ্য খাতকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নেতাকর্মীদের পকেট ভারী করার জন্য তারা করেছে ফ্লাইওভার। তারা তৈরি করেছে ক্যাসিনো। তাদের দলের নেতাদের অফিসে পাওয়া যায় হাজার হাজার কোটি টাকা। আর এসব হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা।