মানুষের দুর্দশায় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়াই আ.লীগের ঐতিহ্য : কাদের

মানুষের দুর্দশায় পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়াই আওয়ামী লীগের সাত দশকের ঐতিহ্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সামগ্রী ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

করোনাভাইরাসের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এবং বন্যাদুর্গত মানুষের কল্যাণে দলীয় নেতাকর্মীদের মানবিক অংশগ্রহণ অব্যাহত আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের প্রতিটি অর্জনের সঙ্গে যেমন রয়েছে আওয়ামী লীগ, তেমন দেশের প্রতিটি দূর্যোগ, সংকটে জনমানুষের পাশে রয়েছে আওয়ামী লীগ।’

তিনি বলেন, ‘করোনার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাদ্য, নগদ অর্থ, চিকিৎসা সহায়তা, সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।’

দেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত, দুর্গত মানুষের জন্য রান্না করা খাবারসহ মানবিক সহায়তা নিয়ে আওয়ামী লীগ পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এভাবেই গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক ও আস্থার ঠিকানায় পরিণত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি বিষয়ে নজরদারি করছেন এবং দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় নানান সীমাবদ্ধতা স্বত্বেও শেখ হাসিনা সরকার সংক্রমণ রোধ, চিকিৎসা ও মানুষের সুরক্ষায় কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যবিভাগে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে, শেখ হাসিনা নিবিড় মনিটরিংয়ের ফলে সমন্বয়হীনতা কমে এসেছে, বাড়ছে সমন্বয়।’

প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলোয় জনমনে আস্থা আবারও সুদৃঢ় হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার নিরলস শ্রম, মানবিক নেতৃত্ব ও দক্ষতার কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, তবে এ নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগা চলবে না। যে কোনো সময়ে তা অবনতির দিকে যেতে পারে।’

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ত্রাণের জন্য ডাক দিতে হয় না, আওয়ামী লীগ নিজ থেকেই ত্রাণ নিয়ে ছুটে যায় জনগণের কাছে।’

ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।