জণগণের উপকারই যেন করতে পারি: প্রধানমন্ত্রী

এই কয়েকটা বছর অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে দেশের বর্তমান অবস্থার জন্য জণগনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেনে, যতদিন বেঁচে আছি সম্মানের সঙ্গে যেন বাঁচতে পারি। এবং বাংলাদেশের মানুষের যেন আমার দ্বারা উপকৃত হন, ভালো থাকে সে জন্য নিজের মন্মদিনে সককলে কাছে দোয়া চাচ্ছি।

সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল ও সিনিয়র আইনজীবী মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে তার সরকারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য একটি বিরাট ক্ষতি, রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতি। কারণ প্রজ্ঞা, জ্ঞান ও মেধা আমাদের দেশের জন্য রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি অত্যন্ত ধীরস্থির ও ঠাণ্ডা মাথায় সবকিছু বিবেচনা করতেন। অনেক জটিল মামলা ভালোভাবে সমাধান করেছিলেন তিনি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই দেশটাকে যেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে পারি। বাংলাদেশের মানুষ যেন বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, ওইটুকুই আমার প্রচেষ্টা আর কিছু না। নইলে বাবা-মা সব হারিয়ে রিক্ত নিঃস্ব হয়ে এই দেশে এসে কাজ করা, এটা খুবই কঠিন কাজ। তার পরও শুধু একটা কথা চিন্তা করেছি- যে দেশটাকে আমার বাবা এত ভালোবেসেছেন, যে দেশের মানুষকে। তাদের জন্য কিছু করে আমাকে যেতে হবে। তার স্বপ্নটা যেন অপূর্ণ না থাকে সেটি যেন পূর্ণ করতে পারি।

দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, করোনাভাইরাস না এলে আমরা আরও অনেক কাজ করতে পারতাম। তার পরও যত বাধাবিঘ্ন আসুক সেটি অতিক্রম করার মতো ক্ষমতা বাংলাদেশের মানুষ রাখে। এ জন্য বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন আজ। এ উপলক্ষে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সীমিতপরিসরে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে দলীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।