ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষীর রিমান্ড শুনানি আজ

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের রিমান্ড শুনানি আজ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ শুনানি হবে। বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে তাদের হাজির করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত ইরফান ও তার দেহরক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে ২৭ অক্টোবর আদালতে আবেদন করে পুলিশ। সেই রিমান্ড আবেদনের শুনানি আজ হতে পারে বলে জানা গেছে।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় আরেক আসামি এ বি সিদ্দিক ওরফে দীপুকে গ্রেফতারের পর ২৭ অক্টোবর আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত তার তিন দিনের পুলিশি রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগের দিন ইরফানের গাড়ির চালক মিজানুর রহমানকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পায় পুলিশ।

এর আগে মঙ্গলবার নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনার আরেক আসামি এবি সিদ্দিক ওরফে দীপুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগের দিন ইরফানের গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে একদিনের রিমান্ডে নেয়ার অনুমতি পায় পুলিশ।

সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সেলিমের সহযোগী এবি সিদ্দিক ওরফে দীপুকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি একসময় হাজী সেলিমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ছিলেন, এখন তার ছেলে ইরফান সেলিমের সঙ্গে থাকেন।

ইরফান সেলিমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবি সিদ্দিকের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় চার আসামিই গ্রেফতার হলেন।

রোববার রাতে নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ধানমণ্ডি থানায় মামলা হয়। এর পর পুরান ঢাকায় হাজী সেলিমের বাসায় র‌্যাব অভিযান চালায়। এ সময় র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার কারণে দিয়েছেন ছয় মাসের কারাদণ্ড। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাস সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানে ওই বাড়ি থেকে অস্ত্র, ইয়াবা, ৩৮টি ওয়াকিটকি ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।