এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়ার অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর

কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগের লোকজন পুলিশের সহযোগিতায় বিএনপির পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন। তিন বলেন, আমাদের অতীতের অভিযোগ গুলো সত্যি হয়েছে। ঢাকার বাইরে থেকে ও ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী এনে প্রত্যেকটা ভোটকেন্দ্রে জড়ো করছে এবং ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট দিতে দিচ্ছে না।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মালেকা বানু উচ্চ বিদ্যালয় ভোটদান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অতীতে আমরা যে অভিযোগ করেছি; সেটি সত্যি হয়েছে। আওয়ামী লীগ ঢাকার বাইরে থেকে ও ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী এনে প্রত্যেকটা ভোটকেন্দ্রে জড়ো করছে। ভোটাররা সেখানে ভয়ে ভোট দিতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, শুধু তাই নয়; ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। পুলিশ আমাদের কোনো সহযোগিতা করছে না। আমাদের পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছে। অনেক জায়গায় ভোটার তো দূরের কথা, ধানের শীষের এজেন্টদের ঢুকতে দিচ্ছে না। আমি যতটা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি এবং আমাদের কন্ট্রোলরুমের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী প্রায় কেন্দ্র থেকে মারধর করে পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।

বিএনপি প্রার্থী বলেন, উত্তরা রাজউক কলেজে ৮টি ইভিএম মেশিনের চারটি নষ্ট। সেখানে সাংবাদিকরা প্রবেশকালে তাদের বাধা দেয়া হয়। তারা কোনোভাবেই চায় না, জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক।

জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কোনো বহিরাগত এবং কোনো প্রার্থী ক্যাম্প করতে পারবে না। কিন্তু প্রতিটি কেন্দ্রে প্রবেশপথে নৌকার কৃত্রিম লাইন তৈরি করে রেখেছে। যার কারণে ভোটাররাও ভয়ে প্রবেশ করতে পারছে না। এটি কীসের আলামত।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটের দিন সাধারণ ছুটি থাকে। কিন্তু এবার ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। আপনি বলেন, আপনারা বলেন, অনেকে চাকরি করেন– তারা ভোট দিতে আসবে না। এখানে সব কিছু ওপেন স্টাইলে চলছে। আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ বাহিনী সব একাকার হয়ে ভোটদখলের চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, আমি এই কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছি। আবার এই কেন্দ্রে সকালে ১০ জন ভোট দিতে এসেছিল, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভোট সুষ্ঠু হওয়ার কোনো আলামত নেই। সুস্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালে যে রকম ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে; এবারও তাই করছে। আওয়ামী লীগ তাদের দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে। ভোটার উপস্থিতির কোনো পরিবেশ নেই।