বস্তি গ্রাসের জন্য ক্ষমতাসীনরা মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী

হার্ট অ্যাটাকের পর দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন বিএনপির এ নেতা। শারীরিক ভাবে সুস্থ হয়েই বস্তিবাসীদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ করতে গেলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী।

রোববার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর জহুরি মহল্লার পাশে আগুনে পুড়ে যাওয়া বস্তিতে যান রিজভী।

ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

হার্ট অ্যাটাকের পর দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন বিএনপির এ নেতা। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত ২৪ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। চিকিৎসাদের পরামর্শে এতদিন বাড়িতে বিশ্রামে ছিলেন।

এখন কিছুটা সুস্থ হয়েছেন রিজভী। বাড়িতে ফেরার পর এই প্রথম কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন তিনি।

এসময় রিজভী বলেন, অবৈধ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জনগণের মুক্তি মিলবে না। স্বৈরাচার ও দুর্নীতিবাজ সরকারের পতন হলেই শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরবে।

তিনি বলেন, আজকে চারদিকে শুধু আগুন। মানুষের বাড়িঘর জ্বলছে। ঢাকার বস্তি গ্রাস করার জন্য দখল করার জন্য ক্ষমতাসীনরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। গোটা জাতির নিরাপত্তা নাই, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নাই। বাড়িঘরের নিরাপত্তা নাই। বেঁচে থাকার নিরাপত্তা নাই। আজকে মানুষ নিজের বাড়ি ঘরে থাকতে পারছে না। ঢাকার অনেক বস্তি ক্ষমতাসীনরা আগুন লাগিয়ে দখল করে নিয়েছে।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের কথা বলেন। কোনো স্বৈরাচারের উন্নয়নের কথায় জনগণের উন্নয়ন হয় না। জনগণের কল্যাণ বয়ে আনে না। সরকারের মন্ত্রী এমপিরা যখন উন্নয়নের কথা বলেন তখন বুঝতে হবে হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির ষড়যন্ত্র চলছে।

করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, মহামারী হুঁ হুঁ করে বাড়ছে। আজকে হাসপাতালে বেড নেই। রোগীরাও চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। করোনায় মারা যাচ্ছে। সরকারের সেদিকে কোনো খেয়াল নেই। এরমধ্যেই সরকারের লোকেরা আগুন দিয়ে মানুষকে গৃহহীন করছে।

ত্রাণ বিতরণের সময় ছাত্রদল পশ্চিম সভাপতি কামরুজ্জামান জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি লিটন মাহমুদ বাবু, আমিনুর রহমান লিটন, এইচ এম মোজাম্মেল, মাজহারুল ইসলাম রাসেলসহ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।