‘অবিলম্বে মামুনুল হককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে’

কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে হামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী যুবলীগের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের অংশ হিসেবে আজ ৬ ডিসেম্বর ২০২০ইং বিকাল ৩টায় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এবং ফার্মগেটসহ সারাদেশে একযোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এর নির্দেশে ফার্মগেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ ও মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন-অবিলম্বে মামুনুল হককে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তিনি আরও বলেন- ঐ ধর্মান্ধ-মৌলবাদী-প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী, যারা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি, তারা আবারো মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠেছে। অবিলম্বে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে হামলাকারী ও হুকুমদাতাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। যেন আর কোন ধর্মান্ধ-প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করার ধৃষ্টতা না দেখাতে পারে।

অপর দিকে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে নেতৃত্বদেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মামুনুর রশীদ, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি, মোঃ রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, মোঃ রফিকুল ইসলাম সৈকত জোয়ার্দার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ (আইটি) সম্পাদক শামসুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মোস্তাফিজ, ঢাকা মহানগর উত্তর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা, উত্তর সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজাসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন-বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য-বাংলাদেশের ঐতিহ্য। বাংলাদেশের অপর নাম-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যে যে মৌলবাদী, প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী হামলা চালিয়েছে তাঁর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বক্তারা আরও বলেন-পৃথিবীর সকল মুসলিম দেশে ইতিহাস ও সৌন্দর্যের ধারক হিসেবে ভাস্কর্য রয়েছে। ভাস্কর্য যেকোন দেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। যে জাতি তাঁর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নিয়ে যতবেশি চর্চা করে, সেই জাতির মননশীলতা আরও বেশি সমৃদ্ধ হয়।

বক্তারা আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য বাংলাদেশের কলিজা, এদেশের ১৮কোটি মানুষের প্রাণ। এদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য আছে, চিরকালই থাকবে। থাকবেনা কোন পাকিস্তানী প্রেতাত্মারা। বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে যুবলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মী সেই উন্নয়নের পথকে আরও মসৃণ করতে দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে রাজপথে থাকবে। কোন অপশক্তিই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে পারবে না।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ নবী নেওয়াজ, মোঃ এনামুল হক, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিঃ মৃনাল কান্তি জোয়ার্দার, তাজ উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান সুজনসহ যুবলীগ কেন্দ্রীয়/মহানগর/থানা ও ওয়ার্ডের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।