বিএনপির ২৫ কমিটিতে নেই মেজর হাফিজ

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি পালনের উদ্দেশে বিএনপির ২৫টি কমিটিতে স্থান পায়নি ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন। এতে দলটির শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের রাখা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ২৫টি কমিটিতে থাকা নেতাদের নাম ঘোষণা করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়কও।

ঘোষিত কমিটির মধ্যে আইনের শাসন ও মানবাধিকার কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদকে। দলের যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন ও দলের মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে আছেন। ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) শাহজাহান ওমরকে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদিন এ কমিটির সদস্যসচিব দলের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে প্রচার কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী কমিটির সদস্যসচিব পদে আছেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খানকে সেমিনার-সিম্পোজিয়াম কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। এর সদস্য সচিব চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ।

ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকে প্রকাশনা কমিটির আহ্বায়ক করে সদস্যসচিব করা হয়েছে প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলামকে।

প্রতিটি কমিটিতে একাধিক নেতাকে রাখা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার সময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন কমিটির সদস্যসচিব ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন। কমিটি ঘোষণার আগে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের দল হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনে তাদের দায়িত্ব বেশি। সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন পর্যায়ক্রমে বহির্বিশ্বেও কমিটি গঠন করা হবে।

এদিকে, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে গত ১৪ ডিসেম্বর হাফিজ উদ্দিন আহমদকে কারণ শোকজ দেয় বিএনপি। বেঁধে দেওয়া পাঁচ দিন সময়ের মধ্যেই তিনি কারণ দর্শান। তারপরও তার বিষয়ে দল কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এদিকে শোকজ করা হয় আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে। তিনিও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলের নয়াপল্টনের কার্যালয়ে জবাব দেন। তার ব্যাপারেও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। রাখা হয়নি বিষয়ভিত্তিক ১৫টি কমিটি এবং ১০টি বিভাগীয় সমন্বয় কমিটিতে।