‘সরকারের বিরুদ্ধে আল জাজিরার প্রতিবেদন অপপ্রচারের নোংরা বহিঃপ্রকাশ’

বাংলাদেশ নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনের নিন্দা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আল জাজিরার প্রতিবেদন উদ্দেশ্যমূলক ও অপপ্রচারের নোংরা বহিঃপ্রকাশ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমে স্বাধীনভাবে কাজ করছে, সরকারের সমালোচনাও করছে। দেশের এত ভাইব্রেন্ট এবং এক্টিভ মিডিয়া যেখানে কোনো ধরনের তথ্য পায়নি সেখানে আল জাজিরা টেলিভিশনে শেখ হাসিনাকে নিয়ে অসত্য তথ্য প্রচার অত্যন্ত নিন্দনীয়।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বুধবার সকালে তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নিজস্ব আইনগত ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব অনুযায়ী চাপমুক্ত হয়ে কাজ করছে বলেও জানান সেতুমন্ত্রী। বলেন, কোনো ব্যক্তিবিশেষের দায়কে সরকার প্রধানের সঙ্গে লিংক করা সাংবাদিকতার নীতিবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, এটি সঠিক সাংবাদিকতা নয়।

লন্ডনের যোগসাজসে আলজাজিরা উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদন করেছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, লন্ডনে বসে যারা দেশবিরোধী অপপ্রচার করছে এবং উস্কানি দিচ্ছে সেই অশুভ চক্রের যোগসাজশ রয়েছে। জনগণ মনে করেন, এ প্রতিবেদন লন্ডনভিত্তিক অংশ।

আল জাজিরা টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে দেশবিরোধী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগী না হয়ে এ ধরণের উদ্দেশ্যমূলক, বিভ্রান্তিকর এবং একপেশে প্রতিবেদন বন্ধের আহবান জানান ওবায়দুল কাদের।

যারা দেশের স্বাধীনতা ও দেশের উন্নয়ন, অর্জন এবং অগ্রগতিকে এখনও মেনে নিতে পারেনি তারাই এই প্রতিবেদনের কৌশলী ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় লিপ্ত বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

’৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশে সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সাহসী ও সুদক্ষ নেতৃত্ব বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশ-বিদেশে বসে দেশ এবং সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করা কোনো কাজে আসবে না বরং বুমেরাং হবে।

জনগণ শেখ হাসিনার পাশে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিগত সময়ে এতো অপপ্রচারের পরেও চলমান পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিপুল বিজয় তারই প্রমাণ।

সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সরকার অন্যায়, অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ইতিমধ্যে সরকার শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতি স্পষ্ট করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের আইন নিজস্ব গতিতে এবং স্বাধীনভাবে চলছে।