সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ বন্ধে হাইকোর্টে রিট

দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে আগামী ২৮ জুলাইয়ের জাতীয় সংসদের সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

স্থানীয় সাতজন বাসিন্দা এবং ছয়জন আইনজীবী সোমবার এ রিট আবেদন করেন।

আদালতে আবেদনটি উপস্থাপন করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিপুল বাগমার।

রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

এদিন দুপুরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি হবে।

এর আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখার অনুরোধ জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে রোববার আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

সুপ্রিমকোর্টের পাঁচ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এ নোটিশ দিয়েছিলেন।

নেটিশে বলা হয়, গত ১১ মার্চ সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে সিলেট-৩ আসনটি শূন্য হয়। ১৫ মার্চ নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই আসন শূন্য ঘোষণা করে। ২৯ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী ৮ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রয়েছে। কিন্তু দৈবদুর্বিপাকের কারণে তা সম্ভব না হওয়ায় সংবিধান অনুযায়ী আরো ৯০ দিন সময় বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ পায় ইসি। এরপর গত ২ জুন ওই উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এ তফসিলে ১৪ জুলাই ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়। পরে ইসি ১৫ জুন তারিখ পরিবর্তন করে ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে ২৮ জুলাই।

এতে আরও বলা হয়, দৈবদুর্বিপাকের কারণে সংবিধান অনুযায়ী সিলেটের এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমা ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তাই ২৮ জুলাই অনুষ্ঠেয় উপনির্বাচন স্থগিত করা যাবে না-এ বক্তব্য আইনের সঠিক ব্যাখ্যা নয়। ইসির উচিত চলমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি বিবেচনায় নিয়ে ‘লকডাউনে’র সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন না করা এবং ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্য যে কোনো সময়ে ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা। তিন লাখ ৫২ হাজার ভোটারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠান সরকারের বর্তমান ‘লকডাউন’ নীতিরও বিরোধী।