দেশীয় সিগারেট রক্ষায় দ্রুত আইনের বাস্তবায়ন চান ম্যানুফেকচারার সমিতি

নীতি সহায়তার অভাবে রুগ্ন হচ্ছে দেশীয় তামাক চাষিরা। এ কারণে দেশীয় সিগারেট কোম্পানি গুলোর অস্তিত্বও বিলীন হওয়ার পথে। এমন পরিস্থিতিতে তামাক শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রতিযোগিতা আইনের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে লোকালি ওন্ড সিগারেট ম্যানুফেকচারার মালিক সমিতি।

সোমবার ( ১৬ মে ) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি জানায় সংগঠনের নেতারা।

নেতারা বলেন, তামাক শিল্পের মাত্র ১০ শতাংশ বাজার রয়েছে দেশীয় মালিকদের হাতে আর প্রায় ৯০ শতাংশ বাজার দখলে বহুজাতিক কোম্পানির। সরকারের পাশ করা প্রতিযোগিতা আইন’ ২০১২ বাস্তবায়ন হলে বাজারে সব কোম্পানিরই সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাবে, রাজস্ব ফাঁকি কমবে, সমতা-ভিত্তিক বাজার ব্যবস্থা থাকবে, রক্ষা পাবে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন তামাক শিল্প। তামাক আইন কার্যকর না করলে কৌশলে দেশীয় তামাক শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া
হবে।

সংগঠনের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, দেশিয় তামাক শিল্প বাঁচাতে ২০১৭-১৮ দুটি মূল্যস্তর সৃষ্টি এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশীয় কোম্পানির নিম্নস্ল্যাব সংরক্ষিত রেখে বহুজাতিকদের জন্য আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডকে মধ্যমমানে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সরকার। কিন্তু অজানা কারণে এই দুটি সিদ্ধান্ত আলোর মুখ দেখেনি। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে এই দুটি সিদ্ধান্তের মধ্যে যে কোন একটি কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে তারা। এর যে কোন একটি প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করা হলে চলতি বছরের সমপরিমাণ সিগারেট বিক্রয় করে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রায় ৩৮ শতাংশ বেশি রাজস্ব আদায় হবে।

নেতারা আরও বলেন, নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়ায় নকল সিগারেটেরও দাম বাড়ছে। দ্রুততার সঙ্গে সরকারের নীতি সহায়তা না পেলে এই শিল্প ধ্বংস হয়ে পড়লে প্রচুর মানুষ কর্মসংস্থান হারাবে। বিদেশি কোম্পানিগুলোকে একচেটিয়া সুবিধা না দিয়ে দেশীয় শিল্পকে রুগ্ন হওয়া থেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

রাইসুল হক পবনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নাজমুন্নাহার লাকী। সংবাদ সম্মেলনে তামাক শিল্প সংশ্লিষ্ট ২০ প্রতিষ্ঠানর মালিক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।