ঈদের সেমাই বা পুজোর লাড্ডুর কোন ধর্মচরিত্র নেই, এগুলো সার্বজনীন: হুইপ স্বপন

জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেছেন, ঈদের সেমাই বা পুজোর লাড্ডুর কোন ধর্ম চরিত্র নেই, এগুলো সার্বজনীন। আবহমান কাল ধরে বাংলার জনগণ যার যার নিজ নিজ ধর্ম, আচার ও সংস্কৃতি উৎসবের সঙ্গে পালন করে আসছে। অপর ধর্ম বিশ্বাসী বাঙালিরা অপরের ধর্ম উৎসবের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে উৎসবকে সার্বজনীন করে তুলেছেন।

তিনি বলেন, ঈদের দিন মুসলমানের ঘরে ঘরে অন্য ধর্মালম্বীরা সেমাই, মিষ্টান্ন ও অন্যান্য খাদ্য গ্রহণ করেছেন। তেমনি হিন্দুর পুজোয় তাদের ঘরে লাড্ডু, লাবড়া, লুচি সব ধর্মালম্বীগণ সাদরে আহার করেছেন। কোথাও কোন হিংসা- বিদ্বেষ ছড়ায় নি। কিন্তু সাম্প্রতিককালে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে এক ধর্মের সঙ্গে অন্য ধর্মের সংঘর্ষ বাঁধানোর অপচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। এদের উদ্দেশ্যে পেছনে কোন ধর্ম বিশ্বাস নেই। এরা সমাজে হিংসা- বিদ্বেষ ছড়িয়ে বাঙালি জাতিকে দাবিয়ে রাখতে চায়। আমাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির সংগ্রামকে লক্ষ্যচূৎ করে বাঙালির মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর অবিনাশী স্বপ্ন ধ্বংস করতে চায়।

আজ শুক্রবার (১৯ আগষ্ট) জয়পুরহাট শহরের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন।

হুইপ স্বপন বলেন, জাতির মহান জনক আমাদের সকল ধর্মের মর্যাদা রক্ষা করে বাঙালির মুক্তির সংগ্রামের যে পথ নির্দেশ করে গেছেন, প্রত্যেক বিবেকবান দেশপ্রেমিক নাগরিকের পবিত্র দায়িত্ব এই মুক্তির সংগ্রামকে অর্থবহভাবে সফল করতে মানবিক ভুমিকা পালন করা।

জয়পুরহাট শহরের শিব মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রা পূর্ব সুধী সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক ইসলাম, পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভূইয়া, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আরিফুর রহমান রকেট, সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন মন্ডল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলী, পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট হৃষিকেশ সরকার, সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক সুমন কুমার সাহা।

অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বিশিষ্ট সাংবাদিক এডভোকেট নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল পিপি।

অনুষ্ঠান শেষে কয়েক হাজার সনাতন ধর্মালম্বীগণের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে।