বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদদের সম্মানিত করেছিলেন, কৃষিবিদরা তার নিকট চিরঋণী: ড. আওলাদ হোসেন

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব এবং সাবেক ছাত্রনেতা ড. মো. আওলাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারণেই কৃষিবিদরা আজ সম্মানিত। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন যুদ্ধবিদ্ধস্ত বাংলাদেশে খাদ্যের সংকট মোকেবেলায় কৃষির উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষের পেটে ভাত না থাকলে যত উন্নয়ন করা হউক না কেন, কোনটিই সত্যিকার অর্থে কাজে দিবে না। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, খাদ্যশস্যের আমদানি কমানো ও দেশের কৃষিজ উৎপাদন বাড়াতে উন্নত জাত, প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা দরকার৷ আর এজন্য গবেষণা কাজে দরকার মেধাবী শিক্ষার্থীদের। সেসময়ই বঙ্গবন্ধু যুগান্তকারী পদক্ষেপটি নিয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি তিনি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেন। তারপর থেকেই কৃষিতে মেধাবীরা যুক্ত হতে থাকে। আর এ মেধাবী কৃষিবিদদের কারণে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কেবল স্বয়ংসম্পূর্ণতায় নয় আমরা এখন খাদ্যশস্য রপ্তানিও করছি।

বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকালে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণ হলে আলোচনা সভা ও দোয়া-মোনাজাতের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আওলাদ হোসেন আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে পূরণ করতে জননেত্রী শেখ হাসিনা রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু যেভাবে বাংলার মানুষকে ভালোবাসতেন ঠিক একইভাবে ভালোবাসেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা। দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যহত থাকতে আবারও আওয়ামীলীগকে বিজয়ী করতে সবাইকে এখন থেকে কাজ করার আহবান জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, স্বাধীনতার ডাক দিয়ে বাংলাদেশের স্বাদীনতা এনে দিয়েছেন বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। কিন্তু কতটা বৈঈমান জাতি আমরা! ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে তার আদর্শকে হত্যার চেষ্টা করি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধ্বংস বা শেষ করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একই সত্ত্বা। যতদিন বাংলাদেশ ও বাঙালি থাকবে ততদিন থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের ( এসআরডিআই) মহাপরিচালক কামারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ৷ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (বাকসু) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারি একান্ত সচিব ড. মো. আওলাদ হোসেন।আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য এসআরডিআই এর ফিল্ড সার্ভিসেস উইং এর পরিচালক ও জাতীয় শোক দিবস পালন কমিটির আহবায়ক মোঃ লিয়াকত হোসেন। অনান্য দের মধ্যে আরো বক্তব্য এসআরডিআই এর মৃত্তিকা গবেষণা ও গবেষণা সুবিধা জোরদারকরণের প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ আবদুল বারী, অ্যানালাইটিকেল সার্ভিসেস উইয়ের পরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) সামসুন নাহার বেগম।