ক্যান্টনমেন্টে জেনারেলদের পকেটে তৈরি হওয়া দল বিএনপি: আফজাল হোসেন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দেশে জয় বাংলা উচ্চারণ নিষিদ্ধ ছিলো। তারা বাংলাদেশে একটি বিভীষিকাময় অবস্থা তৈরি করেছিল। বিএনপি ক্যান্টনমেন্টে জেনারেলদের পকেটে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক দল।এরা দেশে সবসময় খুনের রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিল এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সব সময় চাইতো। এদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে আমাদের অনেক নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে। সেদিন আমাদের নেত্রী বেঁচে গেলেও আইভি রহমান সহ ২৪ জন নিহত হয়। তারা দেশকে জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য তৈরি করেছিল। তাদের আমলে পুলিশি পাহারায় রাজশাহীতে জঙ্গীরা মিছিল করে এবং ৬৩টা জেলায় বোমা হামলা করে।

তিনি আরও বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ করতে চেয়েছিলেন শহীদের রক্তের বিনিময়ে সেটি আজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। তিনি আমাদেরকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলেন। দেশকে উন্নয়ন সমৃদ্ধ করতে চেয়েছেন। কিন্তু ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সেই সুযোগ দেয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট খুবই নির্মমভাবে হত্যা করে। যারা রাজনীতির সাথে কোন সম্পৃক্ত ছিল না তাদেরকেও তারা বিনা বিচারে হত্যা করে। তাদের মধ্যে নারী শিশু অন্তঃসত্ত্বা কাউকে তারা ছাড় দেয়নি।

আফজাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আইন করে তার হত্যাকারীদের বিচার বন্ধ করে দেয়া হয়। তখন আমাদের জনগণ তাদের ক্ষমতার কাছে অসহায়। আমাদের মা-বোনেরা তখন জায়নামাজে বসে শুধু সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই দোয়া করেছিল, যিনি এ দেশকে স্বাধীন করেছে তাকে যারা হত্যা করে তাদের যেন বিচার এই বাংলাদেশের মাটিতেই হয়। হিন্দু মায়েরা মন্দিরে গিয়ে তাদের বিচারহীন সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সব সময় প্রার্থনা করে। দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলন সংগ্রামের পর আমরা সফল হয়েছি। এই বাংলার মাটিতেই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে।

তালতলী উপজেলার নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে তিনি বলেন, গতকাল আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হয়।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা মিটিং করি। মিটিং শেষে আমিও বাহাউদ্দিন নাছিম ভাই আজকের তালতলীর বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানাই। তিনি তালতলীর কথা শুনেই সম্মেলনে উপস্থিত সকলকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আপনাদের কাছে আজ আমরা এসেছি এটা পরম সৌভাগ্যের বিষয়। এই উপজেলার স্বপ্ন দ্রষ্টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।তিনি ২০০১ সালে এরিকে উপজেলা করার অঙ্গীকার দিয়েছেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালে গেজেট আকারে এটিকে উপজেলা করেন।

তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি
রেজবি-উল-কবির জোমাদ্দারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তৌফিকউজ্জামানের
সঞ্চালনায় সম্মেলন উদ্বোধন করেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির।সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনু।