অভিযুক্তের আইনগত অধিকার

অভিযুক্তের আইনগত অধিকার
যে কোন ব্যক্তিই মানুষ হিসেবে কিছু অধিকার ভোগ করেন। প্রথমে অভিযুক্ত এবং তারপর দোষী সাব্যস্ত হলেও কারো সাথে যাচ্ছেতাই আচরণ করা যায় না। এক্ষেত্রে ন্যূনতম অধিকারগুলো রক্ষিত না হলে যে কেউ আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারেন।

বিচার পূর্ববর্তী
১. হয়রানিমূলক গ্রেফতার করা যাবে না (পিআরবি ৩১৭)।

২. অভিযুক্তকে গ্রেফতারের কারণ জানাতে হবে (কা:বি: ৫৬/৮০, সংবিধান ৩৩(১)।

৩. অভিযুক্তকে শারীরিক আঘাত করা যাবে না (দ:বি: ৩৩০/৩৩১, পুলিশ আইন ২৯(৭)।

৪. মহিলাদের হাতকড়া পরানো যাইবে না, (পিআরবি ৩৩০)।

৫. মহিলা দ্বারা মহিলার শরীর তল্লাশী করাতে হইবে (কা:বি: ৫২)।

৬. অভিযুক্তকে ভয় দেখানো যাবে না (কা:বি: ১৬৩)।

৭. অভিযুক্তকে ২৪ ঘন্টার বেশী হাজতখানায় আটক রাখা যাবে না (কা:বি: ৬১, সংবিধান ৩৩(২)।

৮. সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত খাবার দিতে হবে (পিআরবি ৩৩৩)।

৯. বিশুদ্ধ পানি পান করাতে হবে (পিআরবি ৪৮৭)।

১০. অভিযুক্তের জখমের প্রকৃতি ও কারণ কোর্টে জানাতে হবে (পিআরবি ৩২৮(খ)।

১১. অভিযুক্তের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে (পিআরবি ৩২১)।

১২. অভিযুক্তের ব্যক্তিগত মালামাল হেফাজতে নিতে হবে (পিআরবি ৩২২)।

বিচার চলাকালীন
১. দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে (সংবিধান ৩৫(৩)।

২. একই অভিযোগে দুইবার বিচার করা যাবে না (কা:বি: ৪০৩, সংবিধান ৩৫(২))।

৩. অমানবিক বা নিষ্ঠুর দন্ড দেওয়া যাবে না (সংবিধান ৩৫(৫))।

৪. দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে বাধ্য করা যাবে না (সংবিধান ৩৫(৬) কা:বি: ১৬৪ (৩))।

৫. ১৫ দিনের বেশী পুলিশ হেফাজতে (রিমান্ড) রাখা যাবে না (ক:বি: ১৬৭)।

৬. ব্যক্তিগত হাজরা মওকুফ করা যাবে (ক:বি: ২০৫)।

৭. শিশুদের বড়দের সাথে বিচার করা যাবে না, শিশুদের জামিন দিতে হবে, কারাদন্ড দেয়া যাবে না এবং সংশোধনমূলক প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে হইবে। (শিশু আইন)।

৮. জামিনযোগ্য অপরাধে জামিন দিতে হবে (কা:বি: ৪৯৬)।

৯. বিশেষ ক্ষেত্রে জামিনের অযোগ্য অপরাধেও জামিন দিতে হবে (কা:বি: ৪৯৭)।

১০. অভিযুক্ত রাজসাক্ষী হতে পারিবে (কা:বি: ৩৩৭, পিআরবি ৪৫৯)।

১১. পছন্দ মোতাবেক আইনজীবি নিয়োগ করতে পারবে (সাক্ষ্য আইনের ১১৬)।

১২. সাফাই সাক্ষী দিতে পারবে এবং শপথ নেয়া যাবে না (কা:বি: ৩৪২)।

১৩. শ্রেণীভুক্ত হয়ে বিশেষ সুবিধা নিতে পারিবে (পিআরবি ৪৭৮)।

১৪. রিপোর্টের নকল পাবে (কা:বি: ১৭৩(৪))।

১৫. বিচারে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ দাবী করতে পারবে (মা:সা:ঘো: ১১)।

১৬. আনীত অভিযোগ অপ্রমাণের দায়িত্ব চাপানো যাবে না (সা: আইনের ১০১)।

১৭. অভিযুক্তের উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ করতে হবে (কা:বি: ৩৫৩)।

বিচার পরবর্তী
১. নির্দোষ হলে বেকসুর খালাস পাবে (কা:বি: ২৪৫(১))।

২. আপীলের সুযোগ পাবে (কা:বি: ৪০৭, ৪০৮)।

৩. দন্ডিত হওয়ার ক্ষেত্রেও জামিন পাবে (কা:বি: ৪২৬)।

৪. মৃত্যুদন্ড হলে হাইকোর্টের অনুমোদন ছাড়া কারযকরী করা যাবে না (কা:বি: ৩৭৪)।

৫. গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে মৃত্যুদন্ড স্থগিত রাখিতে হবে (কা:বি: ৩৮২)।

৬. ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের অধিকার থাকবে (কা:বি: ৫৪৫ না: শি: আ: ৩১)। তথ্যসূত্রঃঅনলাইনঢাকা