বিএনপির এই নেতাদের সম্পদের খোঁজে দুদক

বিএনপির এই নেতাদের সম্পদের খোঁজে দুদক

সোমবার থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন বিএনপির ৮ নেতার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানে নেমেছে। দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে গণমাধ্যমকে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এরইমধ্যে অনুসন্ধানের জন্য দুদক দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা করেছে। যারা হলেন উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম, সহকারী পরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন।বিএনপির যেসব নেতার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তারা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু, এম মোর্শেদ খান, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও নির্বাহী সদস্য তাবিথ আউয়াল।
চিঠিতে বলা হয়, ৩০ দিনে তাদের একাউন্ট থেকে মানিলন্ডারিং ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ‌্যমে ১২৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনটি বেসরকারি ব্যাংকে আবদুল আওয়াল মিন্টুর অ্যাকাউন্ট থেকে গেলো ১১, ১৫ এবং ২০শে ফেব্রুয়ারি ৩২ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। একই মাসে তার সন্তান তাবিথ আওয়ালের অ্যাকাউন্ট থেকে সন্দেহজনকভাবে উত্তোলন করা হয় ২০ কোটি টাকা।

২৭শে ফেব্রুয়ারি বিএনপি নেতা মোর্শেদ খানের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ১৮ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। তার ছেলে ফয়সাল মোর্শেদ খানের অ্যাকাউন্ট থেকেও গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি উত্তোলন করা হয় ৯ কোটি টাকা।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গত ৩ মার্চ থেকে ১২ই মার্চের মধ্যে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ২১ কোটি টাকা উত্তোলন করেছেন। তার অ্যাকাউন্টের ছয়টি চেকে টাকা তোলা হয়েছে ঢাকার বাইরে থেকে।
গেলো ২৮শে ফেব্রুয়ারি এবং ৪ মার্চ ঢাকা ব্যাংকে মির্জা আব্বাসের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়।

এছাড়া, নজরুল ইসলাম খান এবং হাবিবুন্নবী খান সোহেলের অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন সময়ে ৭ কোটি টাকা ‘সন্দেহজনক লেনদেন’ হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।