বসুন্ধরা সিটিতে দুই শতাধিক মোবাইল দোকানে শুল্ক গোয়েন্দার অভিযান, সড়ক অবরোধ

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা মোবাইল ফোন বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। অভিযান শেষে কর্মকর্তারা বের হওয়ার সময় মার্কেটের সামনের সড়ক অবরোধ করেছে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। এসময় সড়কে অগ্নিসংযোগ করেছে তারা। জব্দ করা মোবাইলগুলো ফেরত দেওয়ার দাবিতে সেখানে শুল্ক গোয়েন্দাদের আটকে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (১৯ মে) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী মো. জিয়াউদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে, এখানে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে নিয়ে আসা মোবাইল ফোন বিক্রি হচ্ছে। আমরা অভিযান চালিয়ে এরকম মোবাইল পেয়েছি।’

জানা যায়, বিদেশ থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মোবাইল ফোন আমদানি করার অভিযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। শনিবার (১৯ মে) বেলা ১১টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কর্মকর্তারা বসুন্ধরা শপিং মলের নিচতলা, দ্বিতীয়, পঞ্চম ও ষষ্ঠতলায় মোবাইল ফোনের দুই শতাধিক দোকানে অভিযান চালায়। এসময় স্যামসাং ও আইফোনসহ অনেক মোবাইল ফোন জব্ধ করা হয়। অভিযান শেষে বেলা ১টার দিকে শুল্ক গোয়েন্দারা বের হলে মার্কেটের সামনে সড়ক অবরোধ করেন মোবাইল ব্যবসায়ীরা। এসময় শুল্ক গোয়েন্দাদের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন তারা।

এ ব্যাপারে মার্কেটের অ্যাপল জোন নামের একটি মোবাইলের দোকানের কর্মচারী ফাহাদ বরেন, ‘প্রতিবার কোনও কথাবার্তা ছাড়া আমাদের দোকান থেকে এসে মোবাইল নিয়ে যায়। এর আগেও এরকম মোবাইল নিয়ে গেছে তারা। আমরা কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার পরেও ফেরত দেয় না। তারা নিজেরাই মোবাইল ব্যবহার করে বা বিক্রি করে।’

এসব জব্দ করা মোবাইলের ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিদেশ থেকে দেশে ফেরা বিভিন্ন যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল কিনে এখানে বিক্রি করি। বিমানবন্দর থেকে যখন এসব মোবাইল লাগেজে করে নিয়ে আসেন তারা, তখন শুল্ক গোয়েন্দারা কী করে?’

ষষ্ঠ তলার মোবাইল ওয়ার্ল্ড নামের একটি দোকানের মালিক ফখরুল ইসলাম বরেন, ‘দোকানে ঢুকেই কাগজ দেখানোর কোনও সুযোগ না দিয়ে মোবাইল নিয়ে যায় তারা। পরে আর ফেরত দেয় না।’জব্দ করা মোবিইল ফোনের ব্যাপারে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী মো. জিয়াউদ্দিন বলেছেন, ‘এগুলোর বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে কাগজপত্র দেখাতে পারলে মোবাইল ফেরত দেওয়া হবে।’