আবারও রাজু ভাস্কর্য দখলে নিল শিক্ষার্থীরা

আবারও  রাজু ভাস্কর্য দখলে নিল শিক্ষার্থীরা

কোটা সংস্কার ও আন্দোলরত আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের সামনে ফের অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ঢাবি এরিয়া। এর আগে টিএসসি থেকে শহীদুল্লাহ হল পর্যন্ত রাতভর চলে তান্ডব।

এসময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ‘শাহবাগে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ছাত্রলীগের হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই,’ ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মেনে নাও,’ ‘কোটা দিয়ে কামলা নয়, মেধা দিয়ে আমলা চাই,’ ‘১০% এর বেশি কোটা নয়’ এসব স্লোগান দিচ্ছেন।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে সেখানে জড়ো হয়। এর আগে মিছিলটি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, কার্জন হলসহ ক্যাম্পাস পদক্ষিণ করে। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এসময় সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) বলতে চাই, যারা আন্দোলন করছেন, তারা আপনার ভাই বা সন্তানের মতো। তারা কারও বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন না। তারা অধিকারের প্রশ্নে আন্দোলন করছেন। তাই আজ দুপুরের মধ্যেই আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দেন। তা না হলে আন্দোলনে দাবানল সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।’

উল্লেখ্য, রোববার (৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নেয় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। প্রায় ৪ ঘণ্টার শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা । রাত ৮টার দিকে আন্দোলনকারীদের হামলা চালায় পুলিশ। পুলিশের লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের কারণে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ থেকে সরে এসে চারুকলা অনুষদের সামনে অবস্থান নেয়। পরে তারা আন্দোলনকারীরা টিএসসির সামনে অবস্থান নেয়। দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় শিক্ষার্থী, পুলিশ ও ছাত্রলীগ। টিএসসি এলাকা পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় পুলিশের টিয়ারশেল, কাদানে গ্যাস, জলকামান নিক্ষেপ ও ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫০ জন।