ট্রাফিকের উপর বিরক্ত হয়ে বাইক পোড়ালেন পাঠাও চালক

রাস্তায় বারবার ট্রাফিক পুলিশের মামলার প্রতিবাদে শওকত আলম সোহেল নামের এক পাঠাও চালক নিজের বাইকে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।

আজ (সোমবার) সকাল ৯ টার দিকে বাড্ডা লিংক রোডে পুলিশের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বাইক পোড়ানোর ঘটনা পথচারীরা ভিডিও করে ফেসবুকে ছাড়লে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ফুটপাতের পাশের ড্রেনঘেঁষে দাঁড় করানো মোটরসাইকেলটি দাউ দাউ করে জ্বলছে। ওই মোটরসাইকেল চালক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। রাস্তায় এদিক ওদিকে চিৎকার করে কিছু একটা বলছেন। এক সময় হাতে থাকা হেলমেটটি জ্বলতে থাকা মোটরসাইকেলের উপর ছুড়ে মারেন। এসময় আশপাশের লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তিনি বাঁধা দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনে পোড়ানো মটর বাইকটির মালিকের নাম শওকত আলী। ট্রাফিক পুলিশ তার থেকে বাহনের কাগজপত্র ও লাইসেন্স দেখতে চাইলে এ নিয়ে বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে শওকত আলী নিজেই পেট্রল দিয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে তাকে পুলিশ বাড্ডা থানায় নিয়ে গেলেও ছেড়ে দেয়।

জানা গেছে, ছোট দোকান চালিয়ে সংসার চালাতেন শওকত আলী। করোনায় ব্যবসাটিও বন্ধ হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে গত কয়েক মাস ধরে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করে সংসার চালাচ্ছিলেন তিনি।

গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার রবিউল ইসলাম বলেছেন, ‘মোটরসাইকেলগুলো রাস্তার পাশে এমনভাবে দাঁড় করিয়ে রাখে, এতে গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়। গুলশানের লিংকরোডে যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট মোটরসাইকেল চালকদের কাগজপত্র নেয়। আর সবার মতো শওকত আলীর কাগজপত্র চেক করতে চান দায়িত্বরত পুলিশ। তার কাগজপত্র নেওয়া হলেও তার মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি। মামলা দেওয়ার আগেই তিনি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।’

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বাইক পোড়ানোর ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে শওকত আলীকে থানায় এনে এ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। আটকের উদ্দেশ্যে নয়। থানায় এসে তিনি আমাকে জানিয়েছেন, আগেও কয়েকটি মামলা হয়েছে তার গাড়ির বিরুদ্ধে। আজকে যখন পুলিশ তার কাগজপত্র নিয়েছে, তখন তিনি হতাশায় নিজের গাড়িতে আগুন দিয়েছেন। তার কাগজপত্র নেওয়া হলেও তার মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হয়নি। মামলা দেওয়ার আগেই তিনি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।’