গোপন তথ্যর জনপ্রিয়তায় বিএনপি যে দুই প্রার্থী মনোনয়ন পেলেন

গোপন তথ্যর জনপ্রিয়তায় বিএনপি যে দুই প্রার্থী মনোনয়ন পেলেন

স্থানীয় গোপন তথ্যর জনপ্রিয়তায় খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। খুলনা সিটিতে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু। অন্যদিকে গাজীপুর সিটিতে মনোনয়ন পেয়েছেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার।

গাজীপুর ও খুলনা মহানগর এবং জেলা নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়, মনোনয়ন বোর্ডে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের ধারাবাহিকতায় গতরাত সাড়ে ৯টায় দলের নীতিনির্ধারকদের এক বিশেষ বৈঠক শেষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন। এর আগে দলের নীতিনির্ধারকরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র প্রফেসর এমএ মান্নানের সঙ্গে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আলোচনা করেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, খুলনা ও গাজীপুরে দলের মনোনয়ন চেয়েছেন একাধিক নেতা।

তৃণমূল নেতার সঙ্গে মতবিনিময় ও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে। তাদের বক্তব্য ও মতামত পর্যালোচনা করে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দলের সাংগঠনিকসহ সার্বিক দিক বিবেচনা করে খুলনায় নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও গাজীপুরে হাসান উদ্দিন সরকারকে দলের মেয়র প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।মির্জা ফখরুল নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রতি নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থিকে ভোট দেয়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী মোতায়নের দাবি জানান তিনি।

পাশাপাশি শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাধ্যমে দুই সিটির সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যাপারে গোপন তথ্য সংগ্রহ করে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তারই ধারাবাহিকতায় মেয়র পদে দলের মনোনয়নপত্র বিক্রি করে বিএনপি। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৭ জন ও খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। যথাসময়ে অফেরতযোগ্য জামানতসহ প্রত্যেকেই মনোনয়নপত্র জমা দেন। রোববার রাতে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মনোনয়ন বোর্ড মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেন। দলীয় সূত্র জানায়, গাজীপুর ও খুলনা দুই সিটি নির্বাচনেই প্রার্থী পরিবর্তনের পক্ষে তৃণমূল নেতাদের মতামত ছিল জোরালো। গাজীপুরের বর্তমান মেয়র প্রফেসর এমএ মান্নানের শারীরিক অসুস্থতাজনিত ও খুলনার বর্তমান মেয়র মনিরুজ্জামান মনির জনপ্রিয়তা হ্রাসজনিত কারণে তারা এ পরিবর্তনের পক্ষে মতামত দেন।