‘বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরকারীরা কক্সবাজারে সাংবাদিক নির্যাতন করছে’

কক্সবাজারের সাংবাদিক এম.এইচ আরমান চৌধুরীকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকির প্রতিবাদে ও হুমকি দাতাদের গ্রেফতারের দাবীতে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসুচীতে সংহতি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর কক্সবাজার ইসলামপুর ইউনিয়নে নাপিতখালী বটতলায় আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে সন্ত্রাসী মো. শরীফের নেতৃত্বে সেদিন যারা ফাকা গুলি করেছিল, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করেছিল সেইসব শীর্ষ সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, ইয়াবা ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসীরা নিজেদের সন্ত্রাসকে আড়াল করার জন্য চকরিয়ার জনপ্রিয় সাংবাদিক এবং সাংবাদিক নেতা এম.এইচ আরমান চৌধুরীকে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দিয়েছে।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উদ্যোগে জার্নালিস্ট ফর হিউম্যান রাইটস ও কোস্টাল জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের মহাসচিব, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি এম.এইচ আরমান চৌধুরীকে হাত কেটে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদ, কক্সবাজার ইসলামপুরের ত্রাস সৃষ্টিকারী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ভূমিদস্যুদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে নাগরিক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা বলেন, এ বিষয়ে তিনি চকরিয়া থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ১৭ অক্টোবর ২০২০ তারিখ একটি সাধারণ ডায়েরী করেন, যার জিডি নং- ৮০২। এইসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা কক্সবাজার-চকরিয়া ও ইসলামপুরে নিরীহ মানুষের চিংড়ী ঘের দখল ও পাহাড় দখলসহ মাদক ব্যবসার সিণ্ডিকেট গড়ে তুলেছে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, কক্সবাজারে শুধু আরমান চৌধুরীই নির্যাতনের শিকার হয়নি, সারা বাংলাদেশে সাংবাদিকরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জিডিতে উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

বক্তারা স্থানীয় ভূমি দসু্য ও সন্ত্রাসী সাবেক শিবির নেতা, বিএনপি হয়ে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী শাহজাহান চৌধুরী, জাফর আলম, মো. তামিম, ফরিদুল আজম ওরফে দাদা ফরিদ, জসিমউদ্দিন, লাল মিন্টু গংদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গণআজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ খান আতা, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিল, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশীদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি সাধারণ সম্পাদক ডা. শামসুল আলম, আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর উত্তর নেতা আ স ম মোস্তফা কামাল, আন্তর্জাতিক প্রবাসী মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ.এম মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ মেধা বিকাশ সোসাইটির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন অপু, সাংবাদিক নেতা গোলাম ফারুক মজনু, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম কাজল, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধন কর্মসূচী হতে সন্ত্রীদের ৪ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে বলা অন্যথায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান সহ কঠোর কর্মসূচী প্রদান করা হবে।