রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক পেতে মনোনয়পত্র সংগ্রহ করেছেন বর্তমান তিন মেয়রসহ ১১ জন।
বুধবার (২০ জুন) সকাল ১০টার দিকে নয়া পল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নিজেই তার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে থেকে।
রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও বরিশালের মেয়র আহসান হাবীব কামালের পক্ষে দলের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
সিলেটে মেয়র পদের জন্য আরিফুল হক চৌধুরী ছাড়াও মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সহ-সভাপতি প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও মহানগর নেতা ছালাহউদ্দিন রিমন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
বরিশালের মেয়র পদের জন্য আহসান হাবীব কামাল ছাড়াও দক্ষিণ জেলা সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, ছাত্র দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজা খানম নাসরিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জুলাই রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২৮ জুন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ জুলাই পর্যন্ত।
মেয়র প্রার্থী ঠিক করতে বুধবার (২০ জুন) দলীয় কার্যালয় থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, বৃহস্পতিবার (২১ জুন) বিকাল ৪টার মধ্যে মনোয়নপত্র জমাদান এবং আগামীকাল রাতেই গুলশান কার্যালয়ে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হবে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সিটি নির্বাচনকে নিয়ে সরকার কি করছে সেটা গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন দেখার পরে আমরা সিলেট, রাজশাহী ও বরিশালের নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। তবে প্রাথমিক প্রক্রিয়া হিসেবে আমরা মনোনয়নপত্র বিক্রি, জমাদান ও সাক্ষাৎকারের কাজগুলো সম্পন্ন করে রাখবো।’
তিনি জানান, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময়ে প্রার্থীরা জামানত হিসেবে ২৫ হাজার টাকা প্রদান করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, আসাদুল করীম শাহিন, গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ ।