আইন প্রণয়নকাজে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংবিধানে বিশেষ কোটা চালু হয়েছিল ১৯৭২ সালেই। সেই থেকে নারী এমপিদের বিশেষ ভূমিকা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়। আগামীকাল রোববার (০৮ জুলাই) ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল-২০১৮’ পাস করার প্রস্তাব উত্থাপন করতে যাচ্ছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এর মধ্য দিয়ে এই কোটার মেয়াদ আরও ২৫ বছর বাড়ানো হচ্ছে।
গেলো ৫ জুলাই আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় দলীয় প্রধান ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনা এই বিল পাসের সময় সব সংসদ সদস্যদের উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশনাও দিয়েছেন। তাই আগামী নির্বাচনেও থাকছে সংরক্ষিত আসন।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনের বিধানে সংশোধনী এনে সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়। উত্থাপিত সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল-২০১৮, আরও ২৫ বছর সংরক্ষিত আসন রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (৩) দফায় সংশোধনী এনে বলা হয়েছে- ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন ২০১৮ প্রবর্তনকালে বিদ্যমান সংসদের অব্যবহিত পরবর্তী সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে পঁচিশ বছর অতিবাহিত হওয়ার অব্যবহিত পরবর্তীতে সংসদ ভেঙে না যাওয়া পর্যন্ত পঞ্চাশটি আসন শুধুমাত্র নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে এবং তারা আইনানুযায়ী আগের সদস্যদের মধ্যমে সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।