জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমাবেশ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির জনসভা নিয়ে রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়ানোর আভাস পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু ঢাকা নয়, এটিকে কেন্দ্র করে সারাদেশে মাঠের রাজনীতি উত্তপ্ত হতে পারে।
বিএনপির সমাবেশ করার কথা ছিল বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনে। মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী জানান, সমাবেশ দুই দিন পিছিয়ে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে।
একই দিন দুপুরে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমও ২৯ সেপ্টেম্বর শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে সমাবেশে ঘোষণা দেন। ওই দিন তিনি ঢাকা দখল রাখতে নেতাকর্মীদের নির্দেশও দেন।
এদিকে দুই দলের সমাবেশের বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত দেয়নি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এ বিষয়ে যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে ঘিরে রাজনীতির মাঠে হঠাৎ উত্তাপ দেখা দিয়েছে। বিএনপি চায় ওইদিন রাজধানীতে সবচেয়ে জনসমাগম করতে। সেই লক্ষ্যে তারা ব্যাপক প্রস্তুতিও নিয়েছে। আওয়ামী লীগও এদিন মাঠে বড় ধরনের শোডাউন করতে চায়। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে শক্তি-সামর্থ্য জানান দেয়ার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
বিএনপির একাধিক নেতা ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে নেতাকর্মীরা এখন থেকেই মাঠে তৎপর থাকবে। রাজপথে ‘সর্বাত্মক’ আন্দোলনের পথ বেছে নেয়া ছাড়া আমাদের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই। সেভাবেই আমরা অগ্রসর হচ্ছি।’