একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের শরিক দলগুলোর জন্য ৭০টি আসন বরাদ্দ রাখবে আওয়ামী লীগ। এমনটি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ।
অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে আসন ভাগাভাগির আগে, জয়ের সম্ভাবনা আছে এমন দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহী বিএনপি। বললেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান।
সব শঙ্কা দূর করে সারাদেশে চলছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি। মনোনয়ন সংগ্রহকে ঘিরে সব দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ। যার ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে, ধানমণ্ডি থেকে নয়াপল্টন।
বড় দুই দলের প্রস্তুতিতে একাদশ জাতীয় নির্বাচন যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে যাচ্ছে তার আভাস স্পষ্ট। তবে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের পুরো প্রস্তুতি শেষ করা নিয়ে ভিন্ন মত রয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে।
নেতারা বলছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য এরই মধ্যে ২০০ প্রার্থীকে নৌকার মাঝি হয়ে লড়ার জন্য চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিএনপিও প্রভাবশালী নেতাদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করে রেখেছে।
৩০০ আসনে নৌকার টিকিট পেতে আগ্রহী ৪ হাজারেরও বেশী মনোনয়নপ্রত্যাশীর আবেদন জমা পড়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে অপেক্ষাকৃত তরুণ ও নারীদের প্রাধান্য থাকবে বলে জানান, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ।
অন্যদিকে জোটেরদলগুলির সাথে আসন নিয়ে এখনি দরকষাকষি নয় বরং জরিপে এগিয়ে থাকা যোগ্য প্রার্থীদের বেছে নেয়ার পক্ষে বিএনপি, বলে জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।