একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ-নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবার সাথে বৈঠক ও কর্মশাল করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন বিভাগে লোকবল। ইসি সূত্রে জানা গেছে এবার নির্বাচনে ১২৯২ জন ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৬৫২ জন ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬৪০ জন।
এছাড়াও সারাদেশে ৪০,১৮৩ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১৯৫৩১৬ জনসহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ৩৯০৬৩২ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।
এবার সারাদেশে ভোটকেন্দ্র ১৯৫৩১৬, ভোটার সংখ্যা ১০,৪২,৩৮৬৭৩ জন। পুরুষ ভোটার ৫২,৫৭,২৩৬২ জন মহিলা ভোটার ৫১,৬৬,৬৩১১ জন।
এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছেন নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
এসময় তিনি বলেন, দুটি জীবন চলে যাওয়া মোটেই ছোট কোন ঘটনা না, এই ঘটনার পেছনে কেবল রাজনীতি ছাড়া তৃতীয় কোনও শক্তির ইন্ধন আছে কিনা না তা খতিয়ে দেখতে হবে। এজন্য সব গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সিইসি বলেন, ২০১৪ সালে একটা ভয়ংকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, সে অবস্থার আলোকে আমাদের এ বছরের নির্বাচনের প্রস্তুতির রূপরেখা অবলম্বন করা প্রয়োজন। তখন মাঠে সব বাহিনী ছিল, সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ছিল-তবুও আমরা দেখেছি পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন, প্রিজাইডিং অফিসার নিহত হয়েছেন, ম্যাজিস্ট্রেট নিহত হয়েছেন, শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন, শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়েছে।
তিনি বলেন, ওইসব ঘটনা কী প্রেক্ষিতে হয়েছিল, সেটা আমরা কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি, সে প্রসঙ্গ আলোচনা করার প্রয়োজন আমি মনে করি না। সেটা আমাদের মনে রাখতে হবে, ভুলে গেলে চলবে না। সে অবস্থা থেকে কীভাবে উত্তরণ করা যায়, সে অবস্থার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেই পরিবেশ পরিস্থিতির সৃষ্টি যাতে না হয়, সেদিকে সতর্কতার সঙ্গে দৃষ্টি রাখতে হবে।