জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরের সামের আব্দুল করিম আওয়ায়িস (১৭)
নামক এক কিশোরকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ইসরাইলের একটি সামরিক আদালত
তাকে এক বছরেরও বেশি সময় আগে ধরে নিয়ে গিয়েছিল দখলদার ইসরাইলি সেনারা। খবর ফিলিস্তিন নিউজ নেটওয়ার্কের।
ইসরাইলের ‘পেতাহ টিকভা’ ডিটেনশন সেন্টারে সামেরকে কয়েক মাস ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং এ সময় তার ওপর নির্যাতনও চালায় ইসরাইলি তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
সামেরের বাবা বর্তমানে ইসরাইলি কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। তাকে গত এক বছরেরও বেশি সময় বন্দি থাকা অবস্থায় পিতার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি।
সামেরের বড় ভাই হাসানকে ২০০৪ সালে ধরে নিয়ে যায় ইহুদিবাদী সেনারা। হাসানকে দু’বার যাবজ্জীবনের সঙ্গে অতিরিক্ত ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ইসরাইলি আদালত।
এ ছাড়া, সামেরের এক চাচা ২০০২ সালে ‘আমারি’ শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হন।
ফিলিস্তিনের বন্দি বিষয়ক কমিশন গত এপ্রিলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, বর্তমানে ইসরাইলি কারাগারগুলোতে প্রায় ২০০ ফিলিস্তিনি শিশু মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এসব শিশুকে ন্যুনতম সহায়তা না করার জন্য জাতিসংঘের তীব্র সমালোচনা করেন ওই কমিশনের প্রধান কাদরি আবু বাকের।
তিনি বলেন, ২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি সেনারা অন্তত ১৭ হাজার ফিলিস্তিনি শিশুকে আটক করেছে যাদের মধ্যে ১০ বছরের কম বয়সি হাজার হাজার শিশু ছিল।
ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি ৫০০ থেকে ৭০০ ফিলিস্তিনি শিশুকে আটক করে দখলদার সেনারা এবং ইসরাইলের সামরিক আদালতে তাদের বিচার করা হয়।