দেশের মানুষ বিএনপি-জামাতের রাজনীতি করার সুযোগ ও অবস্থান আছে বলে মনে করে না

বিএনপি-জামাত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। এরাই ৭১ ও ৭৫ সালের খুনিদের ভাষায় কথা বলে। এই বিএনপি জামায়াত বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের ১৮জন সদস্যকে হত্যার সাথে জড়িত এবং ২০০৪ সালে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আইভী রহমানসহ আমাদের অনেক নেতা কর্মীদের হত্যা করেছে। এই খুনিদের বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করার সুযোগ ও অবস্থান আছে বলে এদেশের মানুষ মনে করে না।

আজ ৪ জুন ২০২২, শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এর সম্মুখে জাতির পিতার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে বিএনপি নেতাকর্মী কর্তৃক হত্যার হুমকি ও কটুক্তির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসীরা যে ভাষায় শ্লোগান দেয়, সেটাকে হালকাভাবে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এর মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে। এই ষড়যন্ত্রকে প্রতিরোধ করতে হলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাহারা দিতে হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি জামাতের এই খুনিরা বাংলাদেশের সংবিধানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এই স্বৈরশাসকদের গর্ভে জন্ম নিয়েছে জামাতে ইসলাম সহ সাম্প্রদায়িক দল। তারাই বিভিন্ন সময় নানা রকমের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে। এরাই রাজাকারদের মত কথা বলে। এই জামাতে ইসলামি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে অবস্থান নিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মানুষ হত্যা করেছে। আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত নিয়েছে। এই অশুভ শক্তি হল রাজনৈতিকভাবে সাম্প্রদায়িক শক্তি। এরাই খুনিদের মদদদাতা এবং এরা সবসময় দেশের পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে দেশে বিশৃঙ্খলা করতে চায়।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু আগামী ২৫ শে জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। জাতির পিতা সুযোগ্য সন্তান শেখ হাসিনা যখন এই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন তখনই তারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপের কারণে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা ছাড়াই নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মাসেতু করেছি। এই অশুভ শক্তি এটা মেনে নিতে পারছে না। তারা কখনোই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে মেনে নিতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের গৃহহীন মানুষদের জন্য শেখ হাসিনা ভূমি ও ঘর দিয়েছেন। দেশে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নিয়ে আসছেন তিনি। দেশের ১০ লক্ষ গৃহহীনকে যখন ঘরের চাবি হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে তখনই বিএনপি জামাত শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য খুনিদের ভাষায় কথা বলে। আজকে যখন কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুসহ সারা বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে তখনই তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়, উৎখাত করতে চায়। দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে থাকুক এটা তারা মেনে নিতে পারছে না।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামাতিদের মোকাবেলা করাই হল আমাদের মতো বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিকদের কাজ। কানাডার আদালত এদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা সন্ত্রাসী হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত। সারা বিশ্ব এদের সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিনে। বাংলার মাটিতে এদের আর কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি যদি এদেশে রাজনীতি করতে চায় তাহলে আমাদের কোন সমস্যা নেই। তবে তাদের কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড আমরা মেনে নিবো না। তারা যদি আবার আগুন সন্ত্রাস চালায়,দেশের সম্পদ নষ্ট করে, দেশের জনগণকে পুড়িয়ে হত্যা করে তাহলে তাদের প্রতিহত করা হবে। যদি তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বাদ দিয়ে তারা গণতান্ত্রিক পন্থায় রাজনীতি করে আমরা তাদের স্বাগত জানাই।

সমাবেশ শেষে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ডের সহস্রাধিক নেতাকর্মী।