‘যত প্রভাবশালীই হোন, নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হলেই বহিষ্কার’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে যত প্রভাবশালীই হন বিদ্রোহ করলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার। এবার কোনো আপোষ নেই, ক্ষমা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিশেষ বর্ধিত সভায় স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বেলা এগারটা ৪০মিনিটে সভা শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। আর সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিজয়ের কথা তুলে ধরে বলেন, কীভাবে জয় হলো? আমাদের নেত্রীর উন্নয়ন ও অর্জনের রাজনীতির ফসল আমরা ঘরে তুলেছি। আগামী ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত এই উন্নয়ন অর্জনের জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো কোনো শক্তি বাংলাদেশে নেই। ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমরা যেকোন নির্বাচনে বিজয়ী হবো।

এ সময় তৃণমূল নেতাদের সবাইকে এক থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নমিনেশন (মনোনয়ন) পাওয়ার খায়েশ থাকতে পারে। কিন্তু নেত্রী বলেছেন, প্রতিযোগিতা হবে কিন্তু অসুস্থ প্রতিযোগিতা হবে না। যারা নিজেরাই নিজেদের বিষোদগার করবেন তারা মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য হবে না। এই প্র্যাকটিস এবার সহ্য করা হবে না। এসিআর জমা আছে নেত্রীর কাছে। ছয় মাস পর পর এসি আর জমা হচ্ছে জনমতের। এবার তৃণমলের সমর্থনে যারা এগিয়ে থাকবে, তারাই পাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেত্রীর উদার মন। বঙ্গবন্ধুর মতো। বিশাল হৃদয়, সাগরের মতো গভীরতা। তিনি বারেবারে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে আর ক্ষমা হবে না। দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে যত প্রভাবশালীই হন, বিদ্রোহ করলে সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার। কোনো আপোষ নেই। কারণ ঐক্যের ফসল আমাদের ঘরে তুলতে হবে।’

সভায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধীন প্রতিটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত দলীয় চেয়ারম্যান, মহানগরের অধীন সংগঠনের প্রতিটি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় নির্বাচিত কাউন্সিলারগণ এবং জেলা পরিষদের নির্বাচিত দলীয় সদস্যগণ উপস্থিত রয়েছেন।