গণপরিবহনে যৌন হয়রানি করলে রুট পারমিট বাতিল

গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানীতে নারীদের জন্য আরো গাড়ি নামানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার হলে সেই গাড়ির রুট পারমিট বাতিল করার মতো শাস্তির ব্যবস্থা আছে। এরইমধ্যে এ সংক্রান্ত অপরাধে একটি গাড়ির রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

বুধবার (১১ জুলাই) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে জাসদ দলীয় সংরক্ষিত আসনের সদস্য বেগম লুৎফা তাহেরের ৭১ বিধিতে উত্থাপিত নোটিশের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

মন্ত্রী বলেন, গণপরিবহনে ভোগান্তি দূর করতে নারীদের চলাচল নিরাপদ ও নিশ্চিতের জন্য বিআরটিএ প্রায়ই সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করে। এ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। তাছাড়া গণপরিবহনে নারী ও প্রতিবন্ধীদের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য প্রতিটি বাসে ৯টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে। এছাড়া পেশাদার মোটরযান চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের আগেই বিআরটিএ কর্তৃক বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণের সময় যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধের বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক করা হচ্ছে। যেসব গণপরিবহনে যৌন হয়রানি হচ্ছে, সেগুলো চিহ্নিত করে রেজিস্ট্রেশন ও রুটপারমিট বাতিলের ব্যবস্থা আছে। এ রকম অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর (ঢাকা-মেট্রো-গ-১৪-৩৯৬৩) গাড়িটির রুট পারমিট বাতিল করা হয়।

তিনি বলেন, নারীদের জন্য নিরাপদ যানবাহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বর্তমানে বিআরটিএ কর্তৃক ১৫টি রুটে ১৮টি বাস এবং সম্প্রতি ঢাকার জন্য আরও দুটি বাস যুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম শহরের দুটি রুটে দু’টি বাস চালু রয়েছে। সর্বমোট ২২টি নারী বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। অক্টোবরে ভারত থেকে আরও ৫০০টি ট্রাকসহ ১১০০টি গাড়ি বিআরটিসি’র বহরে যুক্ত হচ্ছে। এই চালান যখন ঢাকায় আসবে তখন আমরা নারীদের জন্য আরও বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করব। মহিলা বাস সার্ভিসগুলোর অধিকাংশ নারী কন্ট্রাক্টর দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তাছাড়া বিআরটিসিতে নারী চালক নিয়োগও প্রক্রিয়াধীন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই করিডরে আরও ১০৫টি আর্টিকুলেটেড বাস চলাচল করবে। যেখানে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকবে। তাছাড়া বেসরকারি বাসগুলোতে নারীদের জন্য ৯টি আসন থাকলেও বাস্তবে অনেক হ্যাসেলর মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তবে এ ব্যাপারে মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। সেখানে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথাটি রয়েছে।

তিনি বলেন, গণপরিবহনে নারীর ভোগান্তি দূরীকরণে নারীদের চলাচল নিরাপদ ও নিশ্চিত করতে বিআরটিএ প্রায়শ সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করে। এ কার্যক্রম অব্যাহত আছে। গণপরিবহনে নারী ও প্রতিবন্ধীদের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য প্রতিটি বাসে ৯টি আসন সংরিক্ষত রয়েছে। যেসব গণপরিবহনে যৌন হয়রানি হচ্ছে, সেগুলো চিহ্নিত করে রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিট বাতিলের ব্যবস্থা আছে। এরকম অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর ঢাকা মেট্রো গ-১৪-৩৯৬৩ নম্বর গাড়িটির রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, নারীদের জন্য নিরাপদ যানবাহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বর্তমানে বিআরটিএ কর্তৃক ১৫টি রুটে ১৮টি বাস এবং অতি সম্প্রতি ঢাকার জন্য আরো ২ দুটি বাস যুক্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের দুটি রুটে দুটি বাস চালু রয়েছে। সর্বমোট ২২টি মহিলা বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। এই অক্টোবর মাসে ভারত থেকে আরও ৫০০টি ট্রাকসহ ১১০০টি গাড়ি বিআরটিসির বহরে যুক্ত হচ্ছে। এই চালান যখন ঢাকায় আসবে তখন আমরা নারীদের জন্য আরও বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করবো। মহিলা বাস সার্ভিসগুলোর অধিকাংশ মহিলা কন্ট্রাকটার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তাছাড়া বিআরটিসিতে মহিলা চালক নিয়োগও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, আরও ১০৫টি আর্টিকুলেটেড বাস চলাচল করবে। যেখানে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকবে। তাছাড়া বেসরকারি বাসগুলোতে নারীদের জন্য ৯টি আসন থাকলেও বাস্তবে অনেক হ্যাসলের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তবে এ ব্যাপারে মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ আলোচনা করছি। সেখানে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথাটি রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিকালে বেসরকারিভাবে মহিলা বাস সার্ভিস চালু করেছি। এরইমধ্যে দুটি গাড়ি রাস্তায় নামানো হয়েছে। খুব শিগগিরই ৮টি গাড়ি বহরে আসবে। দুই-তিন মাসের মধ্যে ৭টি গাড়ি রাস্তায় নামানোর কথা। এগুলো দেখতে খুবই সুন্দর। দোলনচাপা নামে নতুন মহিলা বাস সার্ভিস সবার মন জয় করেছে। এই বাস সার্ভিসে মহিলা ড্রাইভার ও মহিলা কন্ট্রাকটার রয়েছে। সেখানে গাড়িতে উঠেই নারীরা নিরাপদ বোধ করছে।

উবার ও পাঠাওয়ের মতো রাইড শেয়ারিং অ্যাপের মাধ্যমে গণপরিবহনে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। গণপরিবহন ব্যবস্থা আরও আধুনিক হচ্ছে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।