সোহরাওয়ার্দীতে জনসভার অনুমতি পেয়েছে ঐক্যফ্রন্ট

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৬ নভেম্বর জনসভার অনুমতি পেয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

সোমবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় জনসভার অনুমতি চাইতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ে যায় তিন সদস্যের বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল।

অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি দুপুরে ব্রেকিংনিউজকে নিশ্চিত করেন প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ।

তিনি জানান, ডিএমপি সোহরাওয়ার্দীতে শান্তিপূর্ণ জনসভার অনুমতি দিয়েছে। চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।

এদিকে জাতীয় নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ একাধিক দাবিতে আগামী ৭ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সঙ্গে গণভবনে প্রথম দফার বৈঠক শেষ হলেও সংলাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে গত ৩ নভেম্বর ফের প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দেয় ঐক্যফ্রন্ট।

মূল সংলাপ হয় নাই দাবি করে গতকাল রবিবার এক বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমাদের মূল যে বিষয়গুলো সেগুলো সংলাপে আসেনি। সংলাপে আমাদের আলোচনার বিষয় ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংসদ ভেঙে দেয়া। সেগুলো সরকার মেনে নেয় নাই। তাহলে সংলাপ হয় কিভাবে? এ সংলাপ সম্পন্ন হয় নাই। চলমান সংলাপ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা করতে দেবো না।’

এ প্রসঙ্গে গতকাল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে অগ্রগতি আছে, তারা চাইলে ছোট পরিসরে আবারও আলোচনা হতে পারে। সংলাপে তারা তাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করেছে, আলোচনা হয়েছে। সভা-সমাবেশের অধিকারসহ অনেকগুলো দাবি মেনেও নেয়া হয়েছে। অনেক দিনের দূরত্ব, একদিনেই তো আর বরফ গলবে না। আলোচনা অব্যাহত থাকবে।’

‘খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তির জন্য আলোচনার দরজা খোলা’- গণমাধ্যমে নিজের প্রকাশিত এমন খবর প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছেন আদালত। এখন চিকিৎসার জন্য প্যারোলে খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে পারে বিএনপি।’

সংলাপের মধ্য দিয়ে বেগম জিয়ার মুক্তি ত্বরান্বিত হতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকেই।