হেভিওয়েটরাও ‘নানা কারণে’ বাদ পড়তে পারেন: কাদের

আসছে জাতীয় নির্বাচনে ‘নানা কারণে’ হেভিওয়েট প্রার্থীরাও মনোনয়নবঞ্চিত হতে পারেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

হেভিওয়েট ব্যক্তি, সাংসদ কিংবা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বাদ পড়ার সম্ভাবনা আছে কিনা- এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পড়তে পারেন, এ মুহূর্তে বলবো না। চমক বলবো না, নানা কারণে বাদ পড়তে পারেন।’

তবে জনপ্রিয়তা যাচাই জরিপে এগিয়ে থাকলেও কক্সবাজার-৪ আসনের (টেকনাফ-উখিয়া) দলীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদি ও টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা মনোনয়ন পাচ্ছেন না- এটা নিশ্চিত বলে জানান কাদের।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন বলেন, ‘বদির আসনে তার স্ত্রী মনোনয়ন পেতে পারেন। আর রানার বাবা আতাউর রহমান খান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, ছেলের আসনটি হয়তো বাবাই পাবেন।’

এসময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন- বদিকে বাদ দিয়ে তার স্ত্রীকে মনোনয়ন কেন- উত্তরে কাদের বলেন, ‘ঘরে কি সবাই অপরাধী, আপনি অপরাধী হলে কি সবাই অপরাধী বা পরিবারের সব লোক খারাপ? বদি সম্পর্কে যে কন্ট্রোভার্সি আছে, তার কোনও প্রমাণ আছে? আমরা অলটারনেটিভ বেছে নিয়েছি।’

চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলীয় মনোনয়ন আপাতত শেষ হয়েছে। এখন জোটের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। আসন বণ্টন নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। আশা করি ২৪ বা ২৫ নভেম্বরের মধ্যে তালিকা চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করতে পারবো।’

মহাজোটের শরিকদের কয়টি আসন দেয়া হচ্ছে- এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘আমরা বরাবরই উইনেবল প্রার্থী চেয়েছি। শরিকদের ৬৫ থেকে ৭০ আসন দেয়া হবে। নির্বাচনে সহজ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ভাবার কারণ নেই। তাই শরিকদের কাছেও বিজয়ী হওয়ার মতো শক্তিশালী প্রার্থী চাওয়া হয়েছে।’

সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর আসে- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ আত্মগোপনে আছেন! সবশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেও হঠাৎ এরশাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে জানা যায়, তাকে সিএমএইচে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।

এবার কি এরশাদের মহাজোট ছাড়ার কোনও আশঙ্কা আছে- এ প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করতে যাচ্ছি। কোনও ফাঁকফোকর নেই, এরশাদ সাহেবের অধিকার আছে, তিনি যদি অন্য কোথাও চলে যান, বাধা দিতে পারব না। তবে মহাজোটের সমঝোতায় কোনও বিঘ্ন ঘটবে না।’

স্কাইপের মাধ্যমে তারেক রহমানের দলীয় সাক্ষাৎকারগ্রহণে অংশ নেয়ার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখবে- উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘অলরেডি হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে। একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামির এ ধরনের বক্তব্য প্রচার করা সাইবার ক্রাইম হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।’

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় রাখতে ভারতের কোনও ভূমিকা থাকবে কিনা- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘ভারত কি পারবে আমাদের জেতাতে? জনগণ যদি ভোট না দেয় তবে আমরা জিতবো কি করে? দেশটা আমাদের। আর ভারত আওয়ামী লীগকে কনটিনিউ করাবে- এটা তো ইমপসিবল।’