আ.লীগের সাংগঠনিক সফরে থাকছেন যারা

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে তৃণমূলকে সংগঠিত ও সুসংহত করার প্রত্যার নিয়ে চলতি মাস এপ্রিলেই দায়িত্বপ্রাপ্ত অঞ্চলগুলোতে সাংগঠনিক সফর শুরু করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।

দেশের ৮টি বিভাগকে একক ধরে পৃথক-পৃথক কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। কমিটিগুলোতে থাকছেন দলের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য,  সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য থেকে শুরু করে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকের এবং সিনিয়র নেতারা।

সাংগঠনিক এ মহাযজ্ঞ তদারক করবেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাংগঠনিক সফরের জন্য এরই মধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তবে কে কোথায় দায়িত্ব পাচ্ছেন তা এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে জানায়নি দলটি। তবে নেতাদের মৌখিকভাবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে জাতীয় সম্মেলনের আগে খুব একটা সময়ও পাচ্ছে না আওয়ামী লীগ। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়টাকে সম্মেলনের জন্য সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছে। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এ সময়ের মধ্যে ওয়ার্ড থেকে শুরু করে তৃণমূলের সকল মেয়াদোত্তীর্ণ (৪ থেকে ৫ বছরের অধিক সময়) কমিটিগুলোতে পুনরায় সম্মেলন অনুষ্ঠান এবং সম্মেলনে আগত কাউন্সিলরদের তালিকা ঠিক করে নেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।

এজন্য সর্বোচ্চ একমাস বাড়িয়ে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির বেশি সময় নেতাদের দেয়া হবে না বলে দলীয় সভাপতির পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দলটির দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপের সঙ্গে আলাপচারিতায় এমনই আভাস পাওয়া গেছে।

আগামী বছর (২০২০) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী সামনে রেখে সরকারের ‘মুজিব বর্ষ’ পালনের ঘোষণা এবং ২০২১’এ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের মতো বৃহত রাষ্ট্রীয় ও দলীয় কর্মসূচি রয়েছে। সব মিলিয়ে এর আগেই সংগঠনকে গুছিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা।

ক্যালেন্ডারের পাতায় সম্মেলন হতে সাত মাস বাকি থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তিন থেকে সাড়ে তিন মাসের বেশি সময় পাচ্ছেন না দায়িত্বপ্রাপ্তরা। কেননা, রীতি মেনে শোকের মাস আগস্ট এবং রোজার মাসে কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে না আওয়ামী লীগ। আবার মুসলমানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব তো রয়েছেই। তাতে দলীয় সভাপতির নির্দেশনা মেনে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সময় থাকবে তিন থেকে সাড়ে তিন মাস।

এ সময়ের মধ্যে পুরো কাজ শেষ করে আনা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন দায়িত্ব প্রাপ্তরা।

নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে ৮টি কমিটির মধ্যে ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক কাজে নেতৃত্ব দিবেন: সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মোজাফফর হোসেন পল্টু, কাজী জাফর উল্লাহ, সাহারা খাতুন, মুকুল বোস, আবদুল মান্নান খান, ডা. দীপু মনি, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, হাবিবুর রহমান সিরাজ, নুরুল মজিদ হুমায়ুন, আখতারুজ্জামান, ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা, মৃণাল কান্তি দাস, কামরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, সিমিন হোসেন রিমি এবং এবিএম রিয়াজুল কবির কাওসার।

চট্টগ্রাম বিভাগ: দায়িত্বে রয়েছেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মতিন খসরু, মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা.দীপু মনি, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম ডঃ হাসান মাহমুদ এ কে এম এনামুল হক শামীম ফরিদুন্নাহার লাইলী সুজিত রায় নন্দী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আব্দুস সবুর আমিনুল ইসলাম ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া দীপংকর তালুকদার র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী হারুনুর রশিদ এবং অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু।

রাজশাহী বিভাগ: দায়িত্বে রয়েছেন মোহাম্মদ নাসিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু এবং মেরিনা জাহান।

খুলনা বিভাগ: দায়িত্বে রয়েছেন পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, আবদুর রহমান, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, এসএম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন এবং পারভীন জাহান কল্পনা।

ময়মনসিংহ বিভাগ: দায়িত্বে রয়েছেন আমির হোসেন আমু,ড. আবদুর রাজ্জাক, ডা. দীপু মনি, মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, অসীম কুমার উকিল, মোহাম্মদ আবদুছ সাত্তার এবং উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং।

বরিশাল বিভাগ: এ বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন তোফায়েল আহমেদ, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, আবদুর রহমান, আ ফ ম  বাহাউদ্দিন নাছিম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ড. শাম্মী আহমেদ এবং অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম।

রংপুর বিভাগ: এ বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন রমেশ চন্দ্র সেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, বিএম মোজাম্মেল, টিপু মুন্সী এবং এইচএন আশিকুর রহমান।

সিলেট বিভাগ: এ বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আহমদ হোসেন, বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান এবং অধ্যাপক রফিকুর রহমান। এ বিভাগে দলের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ থেকে আরও দুই-একজন সদস্য সম্ভবনা রয়েছে।

এছাড়া বিভক্ত ঢাকার দুই সংগঠনিক অঞ্চল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের সম্মেলন সফলে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন ড. আবদুর রাজ্জাক এবং কর্নেল (অব.) ফারুক খান।