ফখরুলসহ ৮ নেতার জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল নিষ্পত্তি

সরকারবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য, পুলিশের কাজে বাধা ও নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির আট নেতার জামিন স্থগিত চেয়ে করা রাষ্ট্রপক্ষের আপিল নিষ্পত্তি করেছে আপিল বিভাগ। তবে জামিন বহাল থাকা না থাকার সিদ্ধান্ত পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর জানা যাবে।

নাশকতার মামলায় পুলিশ রিপোর্ট দেওয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট আগাম জামিন দিতে পারে কিনা রাষ্ট্রপক্ষ এমন আবেদন করেন। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের এ আবেদনের পর্যবেক্ষেণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

একইসঙ্গে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসরাম খান, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ডা. জাহিদের আগাম জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদনও পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

এর আগে নাশকতার অভিযোগে হাতিরঝিলে করা মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সাত শীর্ষ নেতাকে আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের বেঞ্চ তাদের এই আগাম জামিন দেন।

গত ১ অক্টোবর হাতিরঝিল থানায় সরকারবিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ। মামলায় দলের স্থায়ী কমিটিরি সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও আইন সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়াকেও আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই হাইকোর্ট থেকে তারা জামিন নিয়েছেন।

হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিতিতে ৩০ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে সরকারবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করা হয়। এর পর সমাবেশ থেকে বাসায় ফেরার পথে হাতিরঝিল থানাধীন মগবাজার রেলগেটে ৭০-৮০ জন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে যান চলাচলে বাধা দেয়। পুলিশ তাদের রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার কথা বললে তারা কর্ণপাত না করে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও একটি বলাকা বাস ভাঙচুর করা হয়।