ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বরগুনা ও নোয়াখালীর পথে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল

ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণের জন্য দু’টি কমিটি গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। সোমবার (০৬ মে) থেকে কমিটিগুলো কার্যক্রম শুরু করবে। এ উপলক্ষে আজ বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বরগুনা ও নোয়াখালীর সুবর্ণচরের পথে রওনা দিচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল।

রোববার (০৫ মে) ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের সমন্বয় কমিটির সভা শেষে দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এ তথ্য জানান। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে আমির হোসেন আমু বলেন, সোমবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে দলীয়ভাবে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হবে এবং সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হবে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় ত্রাণ বিতরণের জন্য আওয়ামী লীগের ২টি কমিটি করা হয়েছে।

কমিটির কার্যক্রমের বিষয়ে জানানো হয়, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফের নেতৃত্বে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী।

বরগুনায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন।

আমু আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশ যতটুকু আঘাত হানার আশঙ্কা ছিলো ততটুকু না আনায় আমরা কিছুটা স্বতিতে আছি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে সব জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একদিকে সরকারের পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পাশাপশি নেত্রীর (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। যেসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকার ও দলের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। এরইমধ্যেই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আমু বলেন, যতটুকু সহযোগিতা করার প্রয়োজন আমরা সেজন্য সবধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী কালও লন্ডন থেকে ফোন করে সব বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন।

পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে বিএনপি’র অভিযোগ প্রসঙ্গে আমু বলেন, আজ যারা বড় বড় কথা বলে, তারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে তাদের কোনোরকম প্রস্তুতি না থাকায় পাঁচ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিলো। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারসহ ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিলো। আমাদের সরকার ও আওয়ামী লীগ নেত্রীর নির্দেশে মানুষকে বাঁচানোসহ ক্ষয়ক্ষতিরোধে প্রস্তুতি নিয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলন আরো উপস্তিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।