ক্যাসিনো না করে টমেটো চাষ করতে বললেন রাজ্জাক

যারা ক্যাসিনো করে, ক্যাসিনো করে রাতারাতি বড় লোক হতে চায় তাদের এসব বন্ধ করে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, যারা ক্যাসিনো করে, ক্যাসিনো করে রাতারাতি বড় লোক হতে চায়, যারা মাদক বিক্রি করে, মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত, যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতি করে, আমি তাদের অনুরোধ করি- আপনারা দুর্নীতি দুর্বৃত্তায়নের পথ বন্ধ করে কৃষকের মত গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করেন। আপনাদের গ্রেফতার হতে হবে না। সামাজিক মর্যাদাও বাড়বে।’

বুধবার (৩০ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘কৃষক বাঁচাও-দেশ বাচাও দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষক লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আব্দুল রাজ্জাক বলেন, ‘যারা ক্যাসিনো করে, তারা যদি ক্যাসিনো না করে কৃষি কাজ করতো তাহলে তাদের সামাজিক মর্যাদা বাড়তো। কৃষি একটা মর্যাদা সম্পূর্ণ পেশা। এই পেশার সম্ভাবনা আরও বাড়বে বলে আমি মনে করি। তাই আমরা বলেছি- কৃষিকে জাতীয়করণ করতে হবে, আধুনিকরণ করতে হবে। আমি কৃষকলীগের ভাইদের বলবো- আপনারা সরকারের হাতকে শক্তিশালী করুন। ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই।’

‘ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেননের বক্তব্যের পর সরকারের পদত্যাগ করা উচিত ছিলো’- বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, ‘এটা ছেলের হাতে মোয়া? মওদুদ চাইলে পেয়ে যাবেন? আমরা জনগণে দ্বারা নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছি। মওদুদদের আহ্বানে সরকার পতন হবে না। আমি বলতে চাই- এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। এই সরকার তৃতীয় মেয়াদের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসেছে। এই সরকার কারো দয়ায় ক্ষমতায় আসেনি।’

তিনি বলেন, ‘আপনার ২০১৫ সালে ৯০ দিন আন্দোলন করেছেন ১৫০ জন মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করেছেন। শত-শত গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছেন, রেললাইন ভেঙেছেন। পুলিশের ওপর হামলা করেছেন। শত-শত পুলিশের গাড়ি পুড়িয়েন। তারপরও সরকারের পতন হয়নি। জনগণের ভালোবাসা আওয়ামী লীগের শক্তি। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থা সেটি হলো আওয়ামী লীগের শক্তি। এই কৃষকলীগ আওয়ামী লীগের শক্তি।’

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া একবার বলছেন তাঁর চিকিৎসা দরকার, আবার বলছেন প্যারোলে যাবেন না। প্যারোলে যাবেন কি যাবেন না- এটা সিদ্ধান্ত নিবে আদালত। আমরা আপনার চিকিৎসা চাই তবে সেটা আইন অনুযায়ী হতে হবে। সরকারের কাছে জামিন চাইলে বলবো, সরকার জামিন দেয় না জামিন দেয় আদালত।