ভোট দিলেন তাবিথ, জানালেন শঙ্কা

ভোটের দিনের শুরুতেই ভয়ভীতি ও হামলার অভিযোগ তুলে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল। আজ শনিবার গুলশানের মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

তাবিথ বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমার কাছে মনে হচ্ছে, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে আমরা যাচ্ছি না। ভয়ভীতি, হামলার মাধ্যমে পরিস্থিতির ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা সকাল থেকে করা হচ্ছে।’

এ সময় নিজের ভোটকেন্দ্রে কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে না পাওয়ার ও ইভিএম নিয়ে ত্রুটির অভিযোগও করেন বিএনপির এই প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘আগেই বলেছিলাম, আমাদের শক্তি হলো জনগণ, জনগণের শক্তি দিয়েই আজকে আমরা সারা দিন প্রতিকূল অবস্থার মোকাবিলা করবো।’

২০১৫ সালের সিটি নির্বাচনে মাঝপথে ভোট থেকে সরে দাঁড়ালেও এবার মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকার কথা জানিয়ে তাবিথ বলেন, ‘আমরা হাল ছাড়ছি না, মনোবল ভাঙছি না। আমাদের মনোবল এখনো শক্ত আছে। আমরা বুঝতে পারছি আমাদের বিপক্ষ দল ভয় পেয়ে গেছে।’

পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা জানালেও ভোটারদের কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘আপনারা ভোট দিতে আসুন। কারণ যেকোনো প্রক্রিয়ায় ভোটের মাধ্যমেই আমরা জয়লাভ করব।’

ভোটের শুরুতেই তাবিথ অভিযোগ করেন, ‘আমি অনেকগুলো অভিযোগ এর মধ্যে পেয়েছি। অভিযোগগুলোর সত্যতাও পেয়েছি। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালা চাঁদপুর হাইস্কুল, ১৯ নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড নং বনানী মডেল স্কুল, পাশাপাপশি বনশ্রী ও ওয়ার্ড নং ৩৬-এসব জায়গায় এজেন্টদের শুরুতেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমি নিজে যাবো পরিস্থিতি দেখার জন্য, পরিদর্শন করার জন্য।’

নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেবেন কি না জানতে চাইলে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাছে এর মধ্যে সব অভিযোগ চলে যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও অভিযোগ চলে গেছে। আমরা যখন যে তথ্য পাচ্ছি তা নিয়মিত পাঠাচ্ছি। প্রত্যেকটি এলাকাতেই নির্বাচন কমিশনের ম্যাজিস্ট্রেট থাকার কথা। কিন্তু আমি মানারাত স্কুলে কোনো ম্যাজিস্ট্রেট খুঁজে পাইনি। মেশিন দেওয়া হয়েছে, কিন্তু মেশিনও এখনো ঠিক হয়নি।’

এর আগে সকাল ৮টায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন ধানের শীষের এই প্রার্থী। তাবিথের মা নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ভোট দিতে গিয়ে ইভিএমে কারিগরি ত্রুটির মুখে পড়েন। ত্রুটি সারিয়ে পরে নির্বাচনী কর্মকর্তারা তার ভোট নেন।

ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ফারজানা শারমিন বলেন, ‘প্যানেলে কানেকশন লুজ ছিল। দু-তিন দফায় চেষ্টা করেছি। পরে আমরা প্যানেল চেঞ্জ করে দিয়েছি। পরে ভোট দিয়েছেন তিনি।’