আরও ১৮২ করোনা রোগী শনাক্ত, মৃত্যু ৫

করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে একদিনে সর্বাধিক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৮২ জন। এই রোগে নতুন করে মারা গেছেন আরও ৫ জন।

আজ রোববার দুপুর আড়াইটায় মহাখালী থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৮২ জন আক্রান্ত হয়েছে। মোট সংক্রমিত হলো ৮০৩। করোনায় মৃত্যু বরণ করেছে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। আমাদের ৩ জন রোগী ইতিমধ্যে সেরে উঠেছেন। মোট সেরে উঠেছেন ৪২ জন।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, নারায়ণগঞ্জ, মিরপুর, বাসাবো এবং আরও কয়েকটি এলাকা বেশি সংত্রমিত হয়েছে। আমি গতকাল সমন্ত বাংলাদেশের ডিরেক্টরদের সাথে কথা বলেছি, দেখা গেছে জেলাতে যেখানে সংক্রমিত হয়েছে, যেই ব্যক্তিগুলো সংক্রমিত করেছে তারা তারা সব ঢাকা থেকে গেছে এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে গেছে। এ বিষয়ে আমাদেরকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। লকডাউনটা আরও জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে এই এলাকাগুলোর।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিনিয়তই আমাদের লকডাউনের কার্যক্রম চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিনই আমাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। তিনি নিজেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশবাসীকে অবহিত করছেন। আমরা উনারই নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে এখনো লকডাউনটা মানুষ পুরোপুরি মেনে চলছে না।’

কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন ইতিমধ্যেই কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে গেছে। সেটি যেন না বাড়ে সেদিকে আমাদেরকে খেয়াল করতে হবে। আমরা আমাদের হাসপাতাল ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা মজবুত করছি। কিন্তু, আমাদেরকে বুঝতে হবে হাসপাতালে লাখ লাখ লোকের চিকিৎসা কোন দেশই দিতে পারে না। আমাদেরকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের কোভিড মোকাবিলার যে মূল অস্ত্র সেটা হলে ঘরো থাকা এবং পরীক্ষা করা। যারা মাধ্যমে যারা সংক্রমিত হয়েছেন তারা চিহ্ন হবেন এবং তাদেরকে আইসোলেশনে রাখা যাবে যাতে তারা আর কাউকে সংক্রমিত না করতে পারে।’

গত ২৪ ঘণ্টায় মোট নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে ১ হাজার ৫৭০ জনের। গতকাল পরীক্ষা হয় ১৩৪০ জনের।

এর আগে রোববার করোনাভাইরাসে একদিনেই আক্রান্ত হয়েছিল ১৩৯ জন, মৃত্যু হয় ৪ জনের। তার আগের দিন শনাক্ত হয় ৫৮ জন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।