সরকার ও চিকিৎসকের নির্দেশনা মানলে এত সংক্রমণ হতো না

সরকার ও চিকিৎসকদের নির্দেশনা মানলে করোনার এত সংক্রমণ হতো না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির আয়োজনে কোভিড-১৯ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ কর্মশালার ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

হানিফ বলেন, বিশ্বের মানুষের কাছে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এই ভাইরাস থেকে কীভাবে মুক্তি পাবে। উন্নত বিশ্বের মতো আমরাও বড় একটি দুর্যোগের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত করছি। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ শুরু থেকে নিয়েছেন। দিন দিন সংক্রমণ বাড়ছে, তবে সরকার ও চিকিৎসকদের নির্দেশ মেনে চললে এত সংক্রমণ হতো না।

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞাপন ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে মিটিংয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞাপন ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ. আবদুস সবুর।

মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, এর আগেও পৃথিবীতে অনেক ভাইরাস এসেছে। কিন্তু কোভিড-১৯টা হচ্ছে এ পর্যন্ত যত ভাইরাস এসেছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছোঁয়াচে। এর মৃত্যুর হার কম কিন্তু সংক্রমণের সংখ্যাটা অনেক বেশি। যার ফলে গোটা বিশ্বকেই বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। এখন সারা বিশ্বের মানুষের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কীভাবে এ ভাইরাস থেকে বের হয়ে আসা যায় বা মানুষকে মুক্ত করা যায়। এ ভাইরাসে উন্নত বিশ্ব যেমন বিপর্যস্ত, বাংলাদেশও একটা বড় সংকটময় সময় অতিবাহিত করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার শুরু থেকেই কোভিড-১৯ মোকাবিলার জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। সাধারণ মানুষকে ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য সরকার সঙ্গে সঙ্গে কিছু নির্দেশনা দিয়েছিল। সরকার ছুটি ঘোষণা করে সারা দেশে সমস্ত অফিস-আদালত বন্ধ করেছিল, যাতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন না হয়। যেহেতু এটা মারাত্মক সংক্রমণমূলক ব্যাধি, তাই এটার কমিউনিটি ট্রান্সমিশন রোধ করতে পারলেই আমরা এ ভাইরাস থেকে মুক্ত হতে পারব। এ ভাইরাসের সংক্রমণের হার বেশি, কিন্তু মৃত্যুর হার অনেক কম। সে কারণে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, যোগ করেন হানিফ।

উন্নত দেশগুলোর চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় বয়স্ক লোক বেশি থাকায় সেখানে মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ। সে তুলনায় বাংলাদেশের মানুষের ইমিউনিটি ক্ষমতা বেশি এবং বয়স্ক নাগরিকের সংখ্যাও অনেক কম। যদি প্রথম থেকেই আমরা সরকারি নির্দেশনাগুলো মেনে চলতাম, চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলতাম, তাহলে আমাদের যে পরিস্থিতি, সংক্রমণের সংখ্যাটা এতো দেখা যেত না।

যেসব বয়স্ক ব্যক্তি বিভিন্ন রোগে ভুগছেন, তাদের দিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের বয়স্ক ব্যক্তিরা যদি বেশি মাত্রায় সর্তক থাকেন, বাকি যারা কর্মস্থলে যান, তারা যদি সরকারি নির্দেশনাগুলো মেনে মাস্ক-হ্যান্ড গ্লাভস পরেন এবং নাকে, মুখে হাত না দেন তাহলে করোনা থেকে বের হয়ে আসতে পারি। মানুষ সচেতন হচ্ছেন না বলেই ট্রান্সমিশনটা বেশি হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন, ভরসা রাখুন। তার নেতৃত্বে আমরা করোনা থেকে মুক্ত হয়ে এগিয়ে যেতে পারব, যোগ করেন হানিফ।