ভারত থেকে এলো ২০০ মেট্রিক টন অক্সিজেন

বন্ধুদেশ ভারত থেকে বিশেষ ট্রেন ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ এ করে দুই শ মেট্রিক টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন (এলএমও) এলো। শনিবার ১০টি কনটেইনারে করে ঢাকায় এলএমও নিয়ে এলো দেশটির অক্সিজেন এক্সপ্রেস।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জরুরি সেবায় দেশটিতে গত ২৪ এপ্রিল ওই অক্সিজেন এক্সপ্রেস চালু করা হয়। এ পর্যন্ত ৪৮০টি অক্সিজেন এক্সপ্রেসের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে। এই প্রথম কোনো প্রতিবেশী দেশে ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ পাঠাল ভারত সরকার। এর ফলে দ্রুত ও স্বল্প খরচে অক্সিজেন পৌঁছে যাবে বিভিন্ন হাসপাতালে। এই চালানটি বাংলাদেশের তরল মেডিক্যাল অক্সিজেনের প্রয়োজনীয় মজুদ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।

এর আগে ভারতের তথ্য অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, শনিবার সকালে অক্সিজেন এক্সপ্রেসে ১০টি কনটেইনারে ২০০ মেট্রিক টন এলএমও লোডিং সম্পন্ন হয়। পরে বিশেষ ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়।

ট্রেনটি রাত ১০টায় বেনাপোল রেলস্টেশনে এসে পৌঁছে। কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সেটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা। সেখানে খালি করে ট্রেনটি আবার ফিরে যাবে ভারতে। অক্সিজেনের আমদানিকারক হলো লিন্ডে বাংলাদেশ। রপ্তানিকারকও লিন্ডে ইন্ডিয়া। বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স সারথী এন্টারপ্রাইজ।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার কল্যাণ মিত্র জানান, অক্সিজেনবাহী ভারতীয় ট্রেনটি বেনাপোল বন্দরের রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে খালাস দেয়া হবে। ঈদের ছুটির মধ্যে অক্সিজেনসহ জরুরি সামগ্রী আমদানিতে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতায় কাস্টমস সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।

উল্লেখ্য, ঈদের ছুটির মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় গত ২১ জুলাই বিকেলে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয় ১৮০ মেট্রিক টন অক্সিজেন। দেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেনের চাহিদা বাড়ায় বাংলাদেশের আমদানিকারকরা ১১টি ট্যাংকারে এই অক্সিজেন আমদানি করেন।