পদ টিকাতে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন মির্জা ফখরুল: বাহাউদ্দিন নাছিম

নিজস্ব প্রতিবেদক: জনসমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইতিহাস বিকৃতকারী বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার পদ টিকানোর জন্য সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন বলে দাবি করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল তার দলে এবং দেশের জনগণের কাছে সমর্থন হারিয়ে দিশেহারা। তাইত মিথ্যার ফেরিওয়ালা হয়ে সরকারের উন্নয়ন ঠেকাতে উঠে পড়ে লেগেছেন। তবে আপনার মিথ্যাচার আর সরকার বিরোধী অপচেষ্টা সফল হবে না এ দেশের মাটিতে।

শনিবার (১৪ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ মহিলা শ্রমিক লীগ আয়োজিত ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, করোনা নিয়ে রাজনীতি করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় বিএনপি ও মির্জা ফখরুল ব্যর্থ হয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণটিকা কার্যক্রম সর্ব সাকুল্যে প্রশংসিত দেখে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিএনপির নেতারা কাচের ঘরে বসে বিবৃতির মিথ্যা রাজনীতি করে, আর আওয়ামী লীগ কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা লাশের দাফন থেকে শুরু করে ধান কাটার কাজ পর্যন্ত করছে ।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আল্লাহর রহমতে আমরা আগের থেকে অনেক শক্তিশালী। বিএনপির অপরাজনীতি আমাদের উন্নয়ন ঠেকাতে পারবে না। তারা দেশে বিদেশে যতই ষড়যন্ত্রের জাল বুনুক আমরা তা প্রতিহত করে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতকে আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলবো।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে রক্তের দাগ শুকানোর পূর্বেই খুনিরা খন্দকার মুশতাকের নেতৃত্বে সরকার গঠন করে। বঙ্গবভনে বসে ষড়যন্ত্রকারীরা সংসদ সদস্যদের ডেকে বেইমান মুশতাকের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে। সেদিন সদস্যদের একটি অংশ সেই মিটিংকে প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ করেছে। তবে ১৫ আগস্ট এবং এর পরেও জাতির পিতার প্রতি অসম্মান জ্ঞাপনের জন্য অনেক প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তারা নাজাত দিবস পালনের দুঃসাহস দেখিয়েছিলো। সে সকল নেতারা দেশের জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতি পায়। আর এসব দেখে লজ্জায় আমাদের মাথা নিচু হয়ে যায়।নতুনদের মাঝে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে হবে, দেশের প্রকৃত ইতিহাস আমাদের আগামীর তরুণ প্রজন্মকে জানতে হবে।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মহিলা শ্রমিক লীগ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিলো। এর প্রতিফলন হিসেবে তারা দেশকে এগিয়ে নিতে নানা ভূমিকা পালনে প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগীতা করেছে। আপনারা দেশ গড়ার কারিগর। বহু শ্রম ত্যাগের বিনিময়ে মহিলা শ্রমিক লীগের যে সকল কর্মী কাজ করে যাচ্ছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা।

মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার সাথির সঞ্চালনায় এবং সভাপতি সুরাইয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড. জাহাঙ্গীর করিব নানক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ মহিলা শ্রমিক লীগের নেতৃবৃন্দ।