ঢাকা-প্যারিস সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে: প্রধানমন্ত্রী

গত নভেম্বরে ফ্রান্সে দ্বিপাক্ষিক সফরের ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক আরও গতিশীল এবং শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জিন মারিন শু’র সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণে গত নভেম্বর মাসে প্যারিসে দ্বিপাক্ষিক সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘বিরল সম্মান’ দেখিয়েছে দেশটি। প্যারিস বিমানবন্দরে স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার, ফরাসি প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন এলিসি প্রাসাদে এবং পরে ইনভ্যালিডসে (কুচকাওয়াজ, গার্ড অব অনারসহ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত স্থান) লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেওয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে বিরল সম্মান জানায় দেশটি।

সফর শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের সম্পর্ক শক্তিশালী ও নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। সে সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর ফ্রান্স সফরকে ‘ঐতিহাসিক সফর’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন।

প্রেস সচিব জানান, গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাতে আসা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ফরাসি সরকার ও জনগণের সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক।

দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক বৃদ্ধির কথা জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ফ্রান্স এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে একটি যৌথ ইশতেহার সই হয়েছে যা এই সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেবে।